নরসিংদীর তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান

নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার চরাঞ্চল নীলক্ষা ইউনিয়নে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ঘটনায় নিহত চারজনের মধ্যে তিনজনই গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। নিহতদের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
ঘটনার একদিন পর আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রায়পুরা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাজহারুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে নীলক্ষা ইউনিয়নের আমিরাবাদ গ্রামের মানিক মিয়া (৪৫), সোনাকান্দী গ্রামের মোমেন মিয়া (২২) ও খোকন মিয়া (৩২) গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন।’
তবে কাদের গুলিতে তিনজন নিহত হয়েছে এ বিষয়ে কিছু জানায়নি পুলিশ।
এ ছাড়া আমিরাবাদ গ্রামের শাহজাহান মিয়া (২৭) টেঁটাবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন বলে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে নিহতদের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা।
নীলক্ষা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ও এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম এবং সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হক সরকারের সমর্থকদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। বিরোধের জের ধরে নির্বাচনের পর কমপক্ষে ১৫ বার সংঘর্ষ হয়েছে। এতে কমবেশি তিন শতাধিক লোক আহত হয়। ভাঙচুর করা হয় শতাধিক বাড়িঘর। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় গত শনিবার থেকে গতকাল সোমবার পযর্ন্ত টানা তিনদিন দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এ সংঘর্ষে গতকাল চারজন নিহত হন। আহত হন রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজহার উদ্দিন, উপপরিদর্শক (এসআই) আসাদ, এসআই জিয়া, এসআই তোফাজ্জল এবং দুজন কনস্টেবল। এ ছাড়া উভয় পক্ষের আরো অন্তত অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়।
এ দিন জেলার সহকারী পুলিশ সুপার বশির উদ্দিন এনটিভ অনলাইনকে জানিয়েছিলেন, ‘প্রায় সাতটি গ্রামের লোকজন একত্রিত হয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। সেখানে নির্বাহী হাকিম উপস্থিত ছিলেন। হামলার মুখে একপর্যায়ে নিজেদের বাঁচাতেই গুলি ছুড়ে পুলিশ।’
পুলিশ ও স্থানীয়দের দাবি, দুই পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র ছাড়াও হাতবোমা ও আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেছে।