মোংলার চরে আটকা লবণের জাহাজ দুদিনেও উদ্ধার হয়নি

বাগেরহাটের মোংলা বন্দরের ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকার ডুবোচরে দুদিন ধরে আটকাপড়ে আছে লবণ বোঝাই একটি বিদেশি জাহাজ। দুর্ঘটনা কবলিত ‘এমভি তানভিন’ নামের ওই জাহাজ থেকে বেতার বার্তায় সাহায্য চাওয়ার পর বন্দরের পাইলটরা ঘটনাস্থলে গেলেও জাহাজটি উদ্ধার করতে পারেননি।
প্রায় আঠারো হাজার ৭০০ মেট্টিক টন লবণ নিয়ে ভারত থেকে আসা ওই জাহাজটি চরে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। তবে জাহাজটিতে থাকা মাস্টারসহ মোট ২২ জন বিদেশি নাবিক এখন সেখানে নিরাপদেই আছেন। দুর্ঘটনার পরও বন্দর চ্যানেল দিয়ে সব ধরনের বাণিজ্যিক জাহাজ নির্বিঘ্নে চলাচল করছে বলে জানিয়েছে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার কমান্ডার ওয়ালিউল্লাহ জানান, এমভি তানভিন নামের জাহাজটি লবণ নিয়ে ভারতের কানলা বন্দর থেকে গত মঙ্গলবার মোংলা বন্দরের ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকায় অবস্থান করছিল। এ সময় বন্দরের নির্দেশনা পেয়ে বুধবার ভোরে পশুর চ্যানেলে প্রবেশের সময় মাস্টার (চালক) ভুলবশত নৌপথ হারিয়ে জাহাজটি ডুবোচরে তুলে দেন। জাহাজটি এখন ফেয়ারওয়ের ১৩ ও ১৪ নম্বর বয়া এলাকার মাঝামাঝি জায়গায় আছে।
সমুদ্র পথে চলাচলের চ্যানেল থেকে লবণ বোঝাই জাহাজটি প্রায় এক কিলোমিটার বাইরে আছে। এ কারণে চ্যানেল দিয়ে জাহাজ চলাচলে কোনো সমস্যা হচ্ছে না, যোগ করেন ওয়ালিউল্লাহ।
বিদেশি জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট কসমস শিপিং লাইন্সের খুলনার ব্যবস্থাপক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ভিয়েতনামের পতাকাবাহী জাহাজটি নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। শ্রমিক নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান স্টিভিডরস মেসার্স গ্রিন এন্টারপাইজকে কার্যাদেশসহ লবণ খালাসের অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
স্টিভিডরস কোম্পানির স্থানীয় প্রতিনিধি মো. মাহবুবুর রহমান জানান, ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকায় আটকাপড়া জাহাজ থেকে আজ বৃহস্পতিবার রাতে লবণ খালাসের জন্য শ্রমিক নিয়োগ করা হয়েছে।
এ দিকে ডুবোচরে আটকে থাকা জাহাজ ও নাবিকদের নিয়মিত খোঁজ রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মোংলা বন্দরের কর্মকর্তারা। পণ্য খালাস করার পর জাহাজটি হালকা হলে তা উদ্ধার করা হবে বলেও জানান তাঁরা।