ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু : ডেমু ট্রেন ভাঙচুর

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর (২৫) রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়গামী ডেমু ট্রেন ভাঙচুর করেছেন বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা।
আজ সোমবার সকালে ফতেয়াবাদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এর আগে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা রেল ও সড়ক অবরোধ করেন।
ডেমু ট্রেন ভাঙচুরের পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম নাজিরহাট সড়কে রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
এদিকে, দিয়াজের ময়নাতদন্ত শেষে লাশ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে জানাজা শেষে ফটিকছড়ির পাইন্দং পারিবারিক কবরস্থানে তাঁর লাশ দাফন করার কথা রয়েছে। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতার মৃত্যুর ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দায়ী করেছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক সুমন কান্তি চৌধুরী জানান, পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকাণ্ড হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে অনেকে জড়িত। এর আগে দরপত্রের ঘটনায় প্রতিবাদ করায় তাঁর বাসায় হামলা-ভাঙচুর করা হয়েছে।
এ ঘটনার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আনোয়ার হোসেন জড়িত আছেন বলে অভিযোগ করেন ছাত্রলীগের এই নেতা। সুমন কান্তি জানান, আনোয়ার হোসেন দিয়াজকে মারার জন্য ১০ লাখ টাকা খরচ করবেন বলে আগেই হুমকি দিয়েছেন। এটি যে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড, তা ঘটনার পর আঁচ করা গেছে। কারণ, পুলিশ আসে সবার পরে, এটি দেশের বাস্তবতা। কিন্তু এ ঘটনার পর পুলিশ আগে চলে এসেছে। দিয়াজ আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করেছে। ঘটনার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর আনোয়ার হোসেন তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, এ রকম কোনো প্রমাণ কেউ দিতে পারবে না। তিনি সহকারী প্রক্টরের দায়িত্ব পালন করছেন। মিডিয়ার ব্যাপারগুলো প্রক্টর দেখে থাকেন। এ ব্যাপারে তিনি আর বেশি কিছু বলতে পারবেন না।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার বাসায় গতকাল রোববার রাতে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহসম্পাদক দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর। এর আগে গত ২৯ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভবনের দরপত্র নিয়ে বিরোধের জের ধরে ছাত্রলীগের একটি অংশ দিয়াজের বাসা ভাঙচুর মা ও বোনকে মারধরের ঘটনা ঘটে।