‘মামলা-হামলা করেও থামানো যায়নি দিয়াজকে’

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসম্পাদক দিয়াজ ইরফান চৌধুরীকে বিভিন্ন সময়ে মামলা-হামলা করেও থামানো যায়নি। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সাবেক এই মেধাবী শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে পুরো ক্যাম্পাস আজ স্তম্ভিত। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে এসব কথা জানানো হয়।
ওই বিবৃতিতে আরো উল্লেখ করা হয়, এর আগে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজ সংগঠনটির চবি শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের এই সৈনিক মৌলবাদ বিরোধী আন্দোলনে ছিলেন সবার আগে। নেতৃত্ব দিয়েছিলেন জামায়াত-শিবির মৌলবাদবিরোধী আন্দোলনে। মামলা-হামলা করে তাঁকে থামানো যায়নি।
শিক্ষাজীবনেও দিয়াজ দিয়েছেন মেধার স্বাক্ষর। ২০০৪ সালে এসএসসিতে জিপিএ ৫ এবং ২০০৬ সালে এইচএসসিতে জিপিএ ৪ দশমিক ৭০ পাওয়া দিয়াজ চবির বাণিজ্য অনুষদ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে পেয়েছেন প্রথম শ্রেণি। নির্বাচিত হয়েছিলেন শ্রেষ্ঠ বিতার্কিক হিসেবে।
পৃথক এক বিবৃতিতে চবি ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলমগীর টিপু ও সাধারণ সম্পাদক এইচ এম ফজলে রাব্বী উল্লেখ করেন, দিয়াজের মৃত্যুতে চবি ছাত্রলীগ শোকাহত। তাঁরা দিয়াজের শোকাহত পরিবারের পাশে থাকার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার বাসা থেকে গতকাল রোববার রাতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহসম্পাদক দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। এর আগে গত ২৯ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভবনের দরপত্র নিয়ে বিরোধের জের ধরে ছাত্রলীগের একটি অংশ দিয়াজের বাসা ভাঙচুর করে মা ও বোনকে মারধর করে।