ঝালকাঠিতে আ.লীগের ৪ ওয়ার্ড সভাপতি বহিষ্কার

দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার একটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের চারজন ওয়ার্ড সভাপতিকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বহিষ্কৃতরা হলেন শুক্তাগড় ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সোবাহান তালুকদার, ৭ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি জসিম উদ্দিন কাজল মোল্লা, ৮ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি অরুন পাল ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি সুভাষ চন্দ্র শীল।
আজ সোমবার শুক্তাগড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মজিবুল হক মৃধা ও সাধারণ সম্পাদক বাবুল তালুকদারের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এদিকে উপজেলা আওয়ামী লীগ ছাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কাউকে বহিষ্কারের ক্ষমতা নেই বলে দাবি করেছেন বহিষ্কৃতরা। একই কথা জানিয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারাও।
আজ গণমাধ্যমে পাঠানো ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শুক্তাগড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের এক জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে এই চারজনকে বহিষ্কার করা হলো।
এ বিষয়ে শুক্তাগড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল তালুকদার বলেন, বহিষ্কৃতরা নানাভাবে দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে আসছিলেন। তাঁরা দলীয় কোনো কার্যক্রম বা সভা সমাবেশে আসেন না। এ জন্য ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাঁদের বহিষ্কার করা হয়েছে।
তবে এই বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নিতে পারে না বলে দাবি করেছেন ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সভাপতি সোবাহান তালুকদার। তিনি বলেন, ‘দল থেকে যেভাবে সহযোগিতা পাওয়ার কথা, তা পাচ্ছিলাম না। এ কারণে যে দল ছেড়ে চলে যাব, তা নয়। তবে আমাদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত উপজেলা আওয়ামী লীগ নিতে পারে, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নয়।’
আরেক বহিষ্কৃত ওয়ার্ড সভাপতি অরুন পালের দাবি, তাঁদের বিরুদ্ধে আনা দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ সত্য নয়। উপজেলা আওয়ামী লীগ ছাড়া সাংগঠনিক পদ থেকে কেউ বহিষ্কার করার ক্ষমতা রাখে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, অন্যায়ভাবে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা মিলে এ কাজ করেছেন। এটা তাঁরা মানেন না।
একই কথা জানিয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খাইরুল আলম সরফরাজ। তিনি বলেন, চারজনকে বহিষ্কারের বিষয়টি তিনি শুনেছেন। ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতিদের বহিষ্কার করার এখতিয়ার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেই। তারা উপজেলা আওয়ামী লীগের কাছে বহিষ্কারের জন্য সুপারিশ করতে পারে। প্রয়োজন হলে উপজেলা আওয়ামী লীগ বহিষ্কার করার ক্ষমতা রাখে বলেও জানান তিনি।
এখতিয়ার না থাকার পরও কীভাবে এই চার ওয়ার্ড সভাপতিকে বহিষ্কার করা হলো তা জানতে শুক্তাগড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল তালুকদারের সঙ্গে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।