বোমা ফাটিয়ে সোনার দোকানে ডাকাতি

ঝালকাঠি শহরের মুসলিম গিনি হাউজ নামে একটি সোনার দোকানে ডাকাতি হয়েছে। ডাকাতদল একাধিক বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ডাকাতি করে স্বর্ণালংকার লুটে নেয়। সোমবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে শহরের ডাক্তারপট্টি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে এক নারীসহ পাঁচজনকে আটক করেছে। উদ্ধার করা হয় লুট হওয়া সোনার গহনা ও একটি চাপাতি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা ও পুলিশ জানায়, শহরের সাধনারমোড় থেকে সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে দুইটি মোটরসাইকেলযোগে চার-পাঁচজন ব্যক্তি হেলমেটপরা অবস্থায় ডাক্তারপট্টি এলাকার স্থানীয় শাহজাহান হাওলাদারের মুসলিম গিনি হাউজের সামনে অবস্থান নেয়। তারা পরপর আটটি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে। পুরো এলাকা বোমার শব্দে প্রকম্পিত হলে পাশের অন্য দোকানগুলো বন্ধ করে দেয় মালিকরা। ডাকাতদল মুসলিম গিনি হাউজে ঢুকে দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ফেলে দোকানের মালিক ও ব্যবস্থাপককে। ডাকাতদলকে বাধা দিলে সোনার দোকানের মধ্যেও একটি বোমার বিস্ফারণ ঘটায়। তারা দোকানের ব্যবস্থাপককে মারধর করে। ডাকাতদল দ্রুত দোকান থেকে সোনার গহনা লুটে নেয়। পরে মোটরসাইকেলে করে সোনার দোকানের সামনে থেকে পশ্চিম দিকে পালিয়ে যায় তারা।
বোমার শব্দে আতঙ্কিত শহরের মানুষ ও পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। ডাকাতদল গাবখান সেতুর দিকে যাওয়ার পথে টোলঘরকর্মীরা বাঁশ ফেলে আটকে দেয়। এ সময় ডাকাতদল সড়কের পাশের ধানক্ষেতে নেমে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। স্থানীয় বাসিন্দা সুজনের চিৎকার শুনে লোকজন এসে এক নারীসহ পাঁচজনকে আটক করে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে সেখান থেকে তাদের থানায় নিয়ে আসে। তাদের কাছ থেকে লুট হওয়া স্বর্ণালংকার ও একটি চাপাতি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ঝালকাঠির পুলিশ সুপার মো. জোবায়েদুর রহমান বলেন, ‘আমরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে এক নারীসহ পাঁচজনকে আটক করেছি। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাদের নাম পরিচয় এখনো সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না। তাদের কাছ থেকে একটি প্লাস্টিকের বস্তা পাওয়া গেছে। বস্তার মধ্যে লুট হওয়া সোনার গহনা ও একটি চাপাতি রয়েছে।’