বাগেরহাটে মুক্তিযোদ্ধাকে মারপিট, প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ

এক মুক্তিযোদ্ধাকে (৭০) মারধরের প্রতিবাদে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা সড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে ও গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ করেছে এলাকাবাসী। দোষীদের বিচার দাবিতে আজ মঙ্গলবার দুপুরে মোরেলগঞ্জের নব্বইরশি বাসস্ট্যান্ডে মানববন্ধন কর্মসূচিও পালিত হয়।
মানববন্ধনে মুক্তিযোদ্ধা মোরেলগঞ্জ ইউনিট, পৌরসভার মেয়র, প্রজন্ম লীগসহ সমমনা অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী ও বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী অংশ নেন।
মারধরের ঘটনায় আহত মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী হাওলাদার এখন মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গতকাল সোমবার রাত ১২টার দিকে তাঁকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২০ নভেম্বর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলীর ছেলের ভ্যানের সঙ্গে একটি সাইকেলের ধাক্কা লাগে। বিষয়টি নিয়ে ওই সাইকেল আরোহীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধার ছেলের কথাকাটাকাটি হয়। বিষয়টি নিয়ে উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবদুর রহিম বাচ্চুর কাছে অভিযোগ করেন ওই সাইকেল আরোহী। এ ঘটনার জের ধরেই মুক্তিযোদ্ধাকে মারধর করা হয়।
এ ঘটনার প্রতিবাদে আজ সকাল ৭টা থেকে মোরেলগঞ্জের নব্বইরশি বাসস্ট্যান্ডে টায়ার জ্বালিয়ে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে থানা পুলিশ ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. লিয়াকত আলী খান ঘটনাস্থলে যান। দুপুরের পর থানা পুলিশ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়। পরে বিক্ষুব্ধরা মানববন্ধন করে এ ঘটনায় দোষীদের শাস্তি দাবি করেন।
আহত মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী হাওলাদার বলেন, ‘সোমবার রাত ৮টার দিকে নিশানবাড়িয়া ইউপির চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহিম বাচ্চু আমাকে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ডেকে পাঠান। সেখানে গেলে ওই চেয়ারম্যান আমাকে কথার একপর্যায়ে হঠাৎ চড় মেরে চেয়ার থেকে নিচে ফেলে দেন। এরপর বাচ্চুর সহযোগীরাও আমাকে মারপিট করে।’
এ ব্যাপারে নিশানবাড়িয়া ইউপির চেয়ারম্যান আবদুর রহিম বাচ্চু বলেন, আশরাফ আলী ও তাঁর তিন ছেলে ইউনিয়নের গুয়াতলার জামাল হাওলাদার নামে এক ব্যক্তিকে মারধর করেছিলেন। এ ঘটনায় অভিযোগ পাওয়ার পর ইউপি কার্যালয়ে তাঁদের ডেকে এনে বিষয়টি মীমাংসা করা হয়েছে। মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেন তিনি।