মাছ বাজারে হঠাৎ বোমা গুলি, নিহত ১

বরিশালের উজিরপুর উপজেলার হারতা মাছ বাজারে এলোপাতাড়ি বোমা নিক্ষেপ ও গুলি বর্ষণ করেছে ডাকাতরা। এতে একজন নিহত ও অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে হারতা পুলিশ ক্যাম্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপপরিদর্শক (এসআই) মোজাফফর হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে ক্যাম্পের বাকি ১৬ পুলিশ সদস্যকে রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্সের লাইনে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
হারতা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হরেন্দ্রনাথ রায় প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জানান, তাঁর এলাকা বিলাঞ্চল হওয়ায় অসংখ্য মাছের ঘের রয়েছে। হারতা বাজারে প্রতিদিন সন্ধ্যার পর মাছের পাইকারি বাজার বসে। দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যবসায়ীরা মাছ কিনে। সন্ধ্যা ৬টার দিকে একটি স্পিডবোটে করে আট-দশজন দুর্বৃত্ত হারতা বাজারে আসে। তারা বাজারের মাছের আড়ত এলাকায় গিয়ে একের পর এক বোমা বিস্ফোরণ ও ফাঁকা গুলি করতে থাকে। বোমার বিকট শব্দে বাজারের লোকজন ভয়ে দিগ্বিদিক ছুটতে থাকে। দুর্বৃত্তরা এ সময় মাছের আড়তে লুটপাট চালায়। মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যে ১৬টি আড়তে লুটপাট চালিয়ে দুর্বৃত্তরা আবার স্পিডবোটে করে পালিয়ে যায়।
দুর্বৃত্তরা অর্ধকোটি টাকা লুট করেছে বলে বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক শংকর মজুমদার দাবি করেছেন। তিনি জানান, ডাকাতরা বোমা বিস্ফোরণের পাশাপাশি বাজারের লোকজনকে বেধরক মারধর করে। এ সময় আতঙ্কে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন বাজার কমিটির সভাপতি সোহরাব বেপারী (৫০)। গণপিটুনি ও আতঙ্কে দিগ্বিদিক দৌঁড়ে পালাতে গিয়ে কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে।
বাজারের ব্যবসায়ী ও ইউপি সদস্য মো. ফারুক অভিযোগ করেন, ডাকাতির সময় নদীর দক্ষিণ তীরে অবস্থিত হারতা ক্যাম্প পুলিশের ভূমিকা ছিল রহস্যজনক। ডাকাতরা চলে যাওয়ার পর তারা আসায় ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীদের রোষানলে পড়ে। তখন তারা রাইফেল দিয়ে পিটিয়ে ব্যবসায়ী ইউনুস মিয়ার পা ভেঙে ফেলে। এ ছাড়া আরো দুজন আহত হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পুলিশ সুপার মো. আখতারুজ্জামান জানান, দায়িত্বে অবহেলার কারণে পুলিশ ক্যাম্পের সব পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে এই ক্যাম্পের ইনচার্জকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।