দলের সমর্থন না পেয়ে ছুটি চাইলেন আ. লীগ নেতা

জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দলের সমর্থন পাননি। এরপরই আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এক মাসের ছুটি চেয়েছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজাদুল ইসলাম। শারীরিকভাবে তিনি অসুস্থ বলে জানিয়েছেন।
আজ বুধবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আজাদুল ইসলাম এ কথা জানান।
চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দলের সমর্থন চেয়েছিলেন আজাদ। কিন্তু কেন্দ্র থেকে সমর্থন দেওয়া হয় দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান মনজুকে। তিনি বর্তমানে জেলা পরিষদের প্রশাসক।
সংবাদ সম্মেলনে আজাদুল ইসলাম জানান, তাঁর ৬৬ বছর বয়সে আগামীতে কোনো কিছু চাওয়ার আর বয়স থাকবে না। এলাকাবাসীর কাছে ক্ষমা চান তাদের আশা পূরণ করতে না পারায়। তিনি সমর্থন না পাওয়ায় নির্বাচন করাটা সমীচীন ও সঠিক হবে না বলে মনে করেন। তিনি বলেন, তাঁর বর্তমান শারীরিক অবস্থা ভালো না। তাই চিকিৎসার জন্য সবকিছু থেকে ছুটি নিতে চান তিনি।
আজাদুল ইসলাম বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বড় দল। আমার অনুপস্থিতির কারণে দল ক্ষতিগ্রস্ত হবে, সেটি আমি মনে করি না।’
আজাদুল ইসলাম আরো বলেন, ‘১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে চেয়েছিলাম। ওই সময় মীর্জা সুলতান রাজার কারণে বারবার বঞ্চিত করা হয়েছে। রাজনীতির কারণে আপন ভাই ও চাচার বিরুদ্ধে কাজ করেছি। তার পরও এ দলের কাছে আস্থা অর্জন করতে পারিনি।’
এদিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি সোহরাব হোসেন। আজ বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুসের কাছে ওই মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি।
এ সময় চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান আশরাফ আলী ব্শ্বিাস, জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক রফিউর রহমানসহ জাতীয় পার্টি ও জেলা আইনজীবী সমিতির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।