তিন ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে দপ্তরি গ্রেপ্তার

খুলনা নগরীর একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি কাম নৈশ প্রহরীর বিরুদ্ধে তিন ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
একজন অভিভাবক তাঁর মেয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে এমন দাবি করে খুলনা থানায় অভিযোগ দায়েরের পর আজ রোববার সকালে নগরীর টুটপাড়া সরকারি মডেল প্রাইমারি স্কুলের দপ্তরি বাচ্চু হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ঘটনায় আজ সকালে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভও প্রদর্শন করেছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিজান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
খুলনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম অভিযোগের বরাত দিয়ে জানান, গত ৪ ডিসেম্বর স্কুলের দপ্তরি বাচ্চু হাওলাদারের হাতে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়। শিশুটি ঘটনাটি তাঁর পরিবারকে জানায়। পরে অভিভাবকরা আজ স্কুলের প্রধানশিক্ষক সঞ্চয় সানার কাছে এ ব্যাপারে অভিযোগ করেন।
এ দিকে ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর সকালে অভিভাবকরা স্কুলের সামনে বিক্ষোভ করে। এ সময় সেখানে স্কুলের আরো দুই ছাত্রী বাচ্চু হাওলাদারের বিরুদ্ধে একই ধরনের অভিযোগ আনে।
বিক্ষোভের একপর্যায়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ দপ্তরিকে আটক করে পুলিশে দেয় বলে জানান ওসি। তিনি আরো জানান, এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে। ৪ ডিসেম্বর ঘটনায় আহত শিশুছাত্রীকে নগরীর শিশু সদনে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
প্রধানশিক্ষক সঞ্চয় সানা এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘৪ ডিসেম্বর একটি শিশু ধর্ষণের শিকার হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর পর থেকে শিশুটি স্কুলে আসছিল না। এখন পরীক্ষা চলছে। পরে স্কুলের পক্ষ থেকে অভিভাবককে খবর দেওয়া হয়। গতকাল শনিবার অভিভাবক স্কুলে এসে জানায়, তাঁর মেয়ে স্কুলে আসতে চাচ্ছে না। পরে তিনি জানান, ধর্ষণের কারণে শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়েছে। পরে আমরা পরামর্শ দেই, শিশুটিতে হাসপাতালে ভর্তির। আজ দপ্তরিকে আটক করে পুলিশে দেওয়া হয়েছে।’