কীর্তনখোলা নদীতে লঞ্চের ধাক্কায় বাল্কহেড ডুবে নিখোঁজ ১

বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে ঢাকাগামী এমভি পারাবাত-১১ লঞ্চের ধাক্কায় বালুবাহী বাল্কহেড ডুবে এক ব্যক্তি নিখোঁজ হয়েছে। শনিবার (১০ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে নদীর মকবুলেরটেক এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বরিশাল সদর নৌ-থানার ওসি ও লঞ্চের কেরাণী জানিয়েছেন, এতে লঞ্চের তলাও ফেটে গেছে। পরে লঞ্চটি কীর্তনখোলা নদীর সদর উপজেলার চরবাড়িয়া ইউনিয়নের লামছড়ি এলাকার চরে উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এমভি পারাবাত-১১ লঞ্চের কেরাণী মো. তুহিন জানান, বরিশাল নৌ-বন্দর থেকে পাঁচ শতাধিক যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয় লঞ্চটি। নদীর মকবুলেরটেক এলাকার মোড় অতিক্রমকালে লঞ্চটির সামনে একটি বাল্কহেড পড়ে। উল্টোদিকে থাকা বাল্কহেড তখন আড়াআড়ি ঘুরিয়ে দেয়। এতে লঞ্চের চালক নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পেরে বাল্কহেডের উপর উঠিয়ে দেয়। পরক্ষণে বাল্কহেডটি ডুবে যায়।
তুহিন আরও জানান, বাল্কহেডের সাথে সংঘর্ষে লঞ্চের পানির লেভেল থেকে একটু উপরের অংশ ফেটে গিয়ে পানি প্রবেশ করে। তখন লঞ্চটি একটি চরে উঠিয়ে দেওয়া হয়। পরে লঞ্চের যাত্রীদের সিংহভাগ এমভি প্রিন্স আওলাদ-১০ এ উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাকিদের ঢাকাগামী এমভি ফারহান লঞ্চে উঠিয়ে দেওয়া হয়।
বরিশাল সদর নৌ-থানার ওসি আব্দুল জলিল বলেন, সিলেট থেকে বালু নিয়ে বাল্কহেডটি বরগুনার উদ্দেশে যাচ্ছিল। লঞ্চের সাথে সংঘর্ষে বাল্কহেডটি ডুবে গেছে। যারা সাঁতরে তীরে উঠেছে তারা জানিয়েছেন একজন নিখোঁজ রয়েছে।
নিখোঁজ মো. রাকিব খান বাল্কহেডের কর্মচারী। সে বরগুনার তালতলী উপজেলার মোরানিদ্রা এলাকার বিল্লাল খানের ছেলে।
ওসি আরও জানান, নিখোঁজের সন্ধানে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হলে তারা সকাল থেকে উদ্ধার কাজ শুরু করেছে।
পারাবত-১১ লঞ্চের যাত্রী পুলক ও তারেক জানান, বরিশাল নদী বন্দর থেকে রাত ৯টায় ছেড়ে আসার পরে লামছড়ি এলাকায় একটি বাল্কহেডকে ধাক্কা দেয় লঞ্চটি। ধাক্কায় বাল্কহেডটি ডুবে যায়। আমরা দেখেছি তিনজন নদী সাঁতরে উপরে উঠেছে।