উনি কি ইন্তেকাল করেছেন, হাতপাখার প্রার্থী আহত প্রশ্নে সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘দুই সিটি করপোরেশনে সার্বিকভাবে নির্বাচন বেশ সুশৃঙ্খল ও আনন্দমুখরভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। আমরা যেমন আপনাদের কাছ থেকে শুনি, তেমনি যে টিভি চ্যানেলগুলো রয়েছে বা ইলেকট্রনিক মিডিয়াগুলো আমরা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করেছি। সেখানেও আমরা ইতিবাচক সংবাদগুলো পেয়েছি। দু-চারটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছে। এটা আশাব্যঞ্জক।’
সিইসি একথার পর এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, বরিশাল সিটিতে আওয়ামী লীগের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী মেয়র পদপ্রার্থী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীমকে মেরে রক্তাক্ত করা হলো। তারপরও কি নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ বলা যায়? এই প্রশ্নে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘রক্তাক্ত, সবকিছু আপেক্ষিক।’
এরপর ওই সাংবাদিক আবার প্রশ্ন করেন, রক্তাক্তও আপেক্ষিক? এই প্রশ্নের জবাবে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘উনি কি ইন্তেকাল করেছেন? আমরা যটতা দেখেছি, ওনার রক্তক্ষরণটা দেখিনি। শুনেছি, ওনাকে কেউ পেছন থেকে ঘুষি মেরেছে। উনার বক্তব্যও শুনেছি। উনি বলেছেন; ভোট বাধাগ্রস্ত হচ্ছে না। আমাকে আক্রমণ করা হয়েছে এবং আমরা সঙ্গে সঙ্গে খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করেছি। ওই কারণে ভোট বাধাগ্রস্থ হয়েছে কি না। আমরা যে খোঁজ পেয়েছি, ভোট কার্যক্রম বাধাগ্রস্থ করা হয়নি।’
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমরা সবার সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। পুলিশের কমিশনার, জেলা প্রসাশক, রিটার্নিং অফিসার। এবং এ ঘটনায় যে দায়ী, তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুরিশ পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং নিয়েছে।’
অপর আরেক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘আমরা দেখেছি, শুনেছি যে হাতপাখার প্রার্থীকে খানিকটা আঘাত করা হয়েছিল এবং সেটা উত্তেজনা সৃষ্টি করেছিল। সে উত্তেজনা হয়তো পুরোপুরি প্রশমিত হয়নি। আমাদের এখান থেকে বলা হয়েছে, নির্বাচন উত্তর যেন কোনো সহিংসতা না হয়। কোনো রকম উচ্ছৃঙ্খল আচরণ যেন না হয়। কারণ, ভোটের ফলাফল ঘোষণার পরে এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। সেই প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে। আইনশৃংঙ্খলা বাহিনী সেই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে।’
দুই সিটিতে ভোট পড়ার হার জানতে চাইলে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘খুলনাতে সম্ভব্য উপস্থিতি ৪২ থেকে ৪৫ শতাংশের মধ্যে। এটা চূড়ান্ত নয়। প্লাস-মাইনাস হতে পারে। কাজেই সুনির্দিষ্ট তথ্য দিতে পারব না। আর বরিশালে ৫০ শতাংশ বা প্লাস-মাইনাস হতে পারে। আর কক্সবাজারের পৌরসভা নির্বাচনে ৫৫ শতাংশের মতো উপস্থিতি ছিল।’
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমাদের পর্যাবেক্ষণে ভোট সার্বিক অর্থে সুন্দরভাবে, সুচারুভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া।’