ঈদের আগেই পোশাক শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধ করুন : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2023/06/19/sbraassttrmntrii.jpg)
ঈদুল আজহার আগে পোশাক শ্রমিকদের জুন মাসের অর্ধেক বেতন এবং ঈদ বোনাস পরিশোধ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
সচিবালয়ে রোববার (১৮ জুন) ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘গার্মেন্টস মালিকদের জুন মাসের ১৫ দিনের বেতন এবং ঈদুল আজহার ছুটির আগে ঈদ বোনাস দিতে বলা হয়েছে এবং বেতন পরিশোধকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের গার্মেন্টস অস্থিরতা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর নজরদারি রাখবে। ঈদযাত্রা নির্বিঘ্নে করতে পোশাক মালিকদের পর্যায়ক্রমে ঈদের ছুটি দিতে বলা হয়েছে।’
জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ২৯ জুন বা ৩০ জুন ঈদুল আজহা অনুষ্ঠিত হবে। এ বছর সারা দেশে মোট ৮ হাজার ৩৯৯টি পশুর হাট বসবে।
সতর্কবার্তা জারি করে মন্ত্রী বলেন, সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ কাউকে রাস্তায় গরু বোঝাই গাড়ি থামাতে দেওয়া হবে না। যদি কেউ গরু বোঝাই যানবাহন থামানোর সঙ্গে জড়িত থাকে তবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্থানীয় পুলিশ সুপারকে অবহিত করতে হবে এবং ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে মোড়ে ও গরুর হাটে ওয়াচ টাওয়ার ও সিসিটিভি বসানো হবে।
তিনি গরু ব্যবসায়ীদের গরুবোঝাই গাড়ির উপরে নির্দিষ্ট গরুর হাটের ট্যাগ দিয়ে একটি ব্যানার টাঙাতে বলেন।
আসাদুজ্জামান বলেন, মহাসড়ক ও সড়কে কোনো পশুর হাট বসতে দেওয়া হবে না এবং গরুর হাটে ‘হাসিল’সাইনবোর্ড দেখাতে হবে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গরুর হাটে একটি অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করা হবে এবং এর পাশাপাশি সেখানে সাদা পোশাকের পুলিশ মোতায়েন করা হবে। এটিএম বুথ, জাল নোট শনাক্ত করার মেশিন এবং পশুচিকিৎসক গরুর হাটে পাওয়া যাবে।
বাস ও লঞ্চ টার্মিনাল, রেলস্টেশন ও ফেরি ঘাটে ডোপিং গ্যাং সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, এই চক্রের তৎপরতা সম্পর্কে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সতর্ক থাকবে। ঈদের ছুটিতে ডাকাতি, ছিনতাই, চুরি ও অন্যান্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড রোধে গোয়েন্দা দলের নজরদারি বাড়ানো হবে এবং এই সময়ে র্যাবের টহল দৃশ্যমান থাকবে। যান চলাচল নিশ্চিত করতে সড়ক, মহাসড়ক এবং শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট ও মোড়ে পুলিশ ও আনসার সদস্যরা তাদের দায়িত্ব পালন করবেন।
২৪টি পয়েন্টকে যানজটের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে উল্লেখ করে আসাদুজ্জামান আরও বলেন, এসব স্থানে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঈদের ছুটিতে যাত্রীদের নির্বিঘ্নে যাত্রা নিশ্চিত করতে হাইওয়ে পুলিশ, জেলা পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যৌথভাবে কাজ করবে।
নৌপথে দুর্ঘটনা এড়াতে মন্ত্রী বলেন, লঞ্চের ধারণক্ষমতার বাইরে অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়া এবং যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নিলে ব্যবস্থা নেবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
ঈদের জামাতে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান মন্ত্রী।