আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির চেষ্টা হলে কঠোর ব্যবস্থা : আইজিপি
পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, যারাই দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আজ বুধবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে ‘বাংলাদেশ পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর’ আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে তিনি এ কথা বলেন।
নির্বাচনকে সামনে রেখে জঙ্গিরা আবারও দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে কিনা এমন প্রশ্নে আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ‘জঙ্গিদের নিয়ে আমাদের যেসব সংস্থা কাজ করে তারা সক্রিয় আছে। যখনই জঙ্গিরা সংঘটিত হওয়ার চেষ্টা করেছে আমরা তাদের নিষ্ক্রিয় করতে এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সক্ষম হয়েছি। এবারও এমনটা হয়েছে। আমরা দেশবাসীকে আশ্বস্ত করতে চাই আমাদের সক্ষমতা আছে, আমাদের সামর্থ্য আছে। জঙ্গিরা যেখানেই সংঘটিত হওয়ার চেষ্টা করবে আমরা গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে তাদের চেয়ে অনেক এগিয়ে থাকি। তাদের সংঘটিত হওয়ার খবর আমরা পেয়ে যাই। যত দুর্গম অঞ্চলেই তারা থাকুক সেই তথ্য পেয়ে আমরা তাদের বিরুদ্ধে সফল অভিযান পরিচালনা করছি।’
জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী মারা যাওয়ার পরে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা এবং নানা ধরনের কর্মসূচি দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল-এ বিষয়ে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন সেদিন রাতে যেই অবস্থা হয়েছিল, তারা প্রথম বলেছিল একটা জানাজা করবে। ডিএমপি কমিশনার এর আগে বলেছেন জানাজা করে তাদের রাতে চলে যাওয়ার একটা ব্যবস্থা করবেন। একটা জানাজা করার জন্য সময়ও দেওয়া হয়। কিন্তু তারা সেই জানাজা করেননি। পরবর্তীতে দেশের বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করে। স্পষ্টভাবে বলতে চাই, বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সকল সদস্য আমরা আমাদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ আছে। যারাই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আইজিপি বলেন, ‘রাজনৈতিক কর্মসূচির বিষয়ে আমাদের কোনো কথা নেই। আমাদের কথা হচ্ছে যখনই নাশকতা হবে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করা হবে সেটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’
মাওলানা সাঈদীর চিকিৎসকের নিরাপত্তার বিষয়ে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ‘আমরা ধানমণ্ডি থানায় একটা জিডির তথ্য পেয়েছি। আমরা তদন্ত করছি। তার সঙ্গে আমরা কথা বলে হুমকিদাতাকে চিহ্নিত করার চেষ্টা করব। তাকে চিহ্নিত করে আইনগতভাবে যে ব্যবস্থা নেওয়া যায় সে ব্যবস্থাই নেওয়া হবে।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতা বিরোধীরা বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি মুছে ফেলতে চেয়েছিল। তাদের সময়ে মুক্তিযোদ্ধারাও পরিচয় দিতে পারতেন না।’
অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের সময়কালীন সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহবুব উদ্দিন আহমেদ, বীরবিক্রম। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কুইজ, রচনা ও উপস্থিত বক্তব্যে অংশগ্রহণ করে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার ও ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়। এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তার বাড়িতে নিহত এসবির এএসআই সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে।