ভোটার তালিকায় মনোযোগ ইসির

আগামী বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন করতে চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সে অনুযায়ী নির্বাচনী প্রক্রিয়ার সব কাজ একে একে গুছিয়ে নিচ্ছে কমিশন। এরই অংশ হিসেবে ইসি ৩০০ আসনের ভোটার তালিকা করার কাজ শুরু করেছে। টার্গেট অনুযায়ী, আগামী ২ নভেম্বর আসনভিত্তিক ভোটার তালিকা চূড়ান্তের পরই সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল জানিয়েছেন, নভেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিলের পর আগামী ডিসেম্বরের শেষ অথবা জানুয়ারি প্রথম সপ্তাহে ভোটগ্রহণ করা হবে।
এদিকে, মাঠ কর্মকর্তাদের ইতিমধ্যে তরুণ ভোটারদের অন্তর্ভুক্তির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে ইসি সূত্রে জানা গেছে। সবশেষ কমিশন বৈঠকে যারা এখনও ভোটার এলাকা পরিবর্তন করবেন বা নতুন ভোটার হবেন তাদেরও আবেদন করার সুযোগ দিয়েছে সংস্থাটি। এক্ষেত্রে আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর শেষ সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।
এদিকে নতুন ভোটার হওয়া এবং এলাকা পরিবর্তনের কাজ শেষ করেই ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করার কাজ শুরু করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ইসির পক্ষ থেকে।
ইসির নির্বাচন সহায়তা শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মো. নাসির উদ্দিন চৌধুরীর পাঠানো ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ থেকে উপজেলা বা থানাভিত্তিক ভোটার তালিকা যাচাই-বাছাই করার জন্য পাঠানো হবে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর।
এরপর উপজেলা বা থানাভিত্তিক ছবিসহ ও ছবি ছাড়া ভোটার তালিকা নির্বাচনী কাজে ব্যবহারের জন্য মাঠ পর্যায়ে পাঠানো হবে আগামী ২৮ অক্টোবর। সবশেষে ৩০০ নির্বাচনী এলাকার জন্য হালনাগাদ ছবি ছাড়া ভোটার তালিকার সিডি প্রস্তুত করা হবে ২ নভেম্বর।
তথ্যমতে, টাকার বিনিময়ে ছবি ছাড়া ভোটার তালিকার সিডি পাওয়ার সুযোগ আছে প্রার্থীদের।
গত ১৬ আগস্ট ভোটকেন্দ্রের খসড়া প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। সেই তালিকার ওপর দাবি-আপত্তি জানাতে সময় দেওয়া হয় ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। দাবি-আপত্তি শুনানি শেষে তা নিষ্পত্তির শেষ সময় ১৭ সেপ্টেম্বর। আর ভোটকেন্দ্রের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে ২৪ সেপ্টেম্বর।
সর্বশেষ ২০২২ সালের হালনাগাদ অনুযায়ী দেশে ভোটার ১১ কোটি ৯১ লাখ ৫১ হাজার ৪৪০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ছয় কোটি চার লাখ ৪৫ হাজার ৭২৪ জন। আর নারী ভোটার ৫ কোটি ৮৭ লাখ চার হাজার ৮৭৯ জন। এ ছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ৮৩৭ জন।
তরুণ ভোটারদের অন্তর্ভুক্ত করার সুযোগ সৃষ্টি করায় এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে, যা জানা যাবে আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর।
খসড়া তালিকা অনুযায়ী, এবার ৪২ হাজার ৪০০টির মতো ভোটকেন্দ্র হতে পারে। আর ভোটকক্ষ হতে পারে দুই লাখ ৬১ হাজার ৫০০টি।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ভোটার ছিল ১০ কোটি ৪২ লাখ। সে সময় সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪০ হাজার ৬৫৭টি। এর মধ্যে যাচাই-বাছাই শেষে ৪০ হাজার ১৯৯টি কেন্দ্র চূড়ান্ত করা হয়।