খুলনায় বিএনপির রোড মার্চ ঘিরে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি
সরকারের পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে খুলনায় আগামী মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রোড মার্চ কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি। এ কর্মসূচি সফল করতে ইতোমধ্যে সমন্বয় সভা করেছে দলটির নেতারা। দফায় দফায় প্রস্তুতি সভা করছে খুলনা বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। আজ রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) থেকে মাইকিং করে প্রচারণা চালাচ্ছে দলটি।
এ বিষয়ে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য সচিব মিজানুর রহমান মিল্টন বলেন, ‘শহরের বিভিন্ন মোড়ে বিশাল তোরণ তৈরি করা হচ্ছে। পোস্টার সাঁটানো ও প্রচারপত্র বিলির কাজ চলছে।’
দলীয় সূত্র জানিয়েছে, রোড মার্চ সফল করতে এবং বর্তমান আওয়ামী সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা পোষণ করতে সব শ্রেণির মানুষকে উজ্জীবিত করা হচ্ছে।
মিজানুর রহমান মিল্টন বলেন, ‘প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে শুরু করে জেলার তৃণমূল নেতাকর্মীদের কাছে ১০ লাখ লিফলেট পৌঁছে গেছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে জনগণের স্বাধীনতাকে হরণ করেছে। আওয়ামী অপশাসনে দেশের জনগণ আজ আর ভালো নেই। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, দফায় দফায় জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে দেশের মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। দেশের মানুষ এ সরকারের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে। দেশের জনগণের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে অবৈধ সরকারের হাত থেকে দেশ ও জনগণকে বাঁচাতে বিএনপি রোডমার্চ কর্মসূচি পালন করছে।’
খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন বলেন, ‘ইতোপূর্বের খুলনা বিভাগীয় গণসমাবেশ ও তারুণ্যের সমাবেশে সাধারণ মানুষের উপস্থিতি প্রমাণ করেছে অবৈধ সরকারের সঙ্গে দেশের মানুষ নেই। আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর পাঁচ লক্ষাধিক মানুষের সমাগম ঘটবে।’
শফিকুল আলম তুহিন বলেন, ‘সরকার পতনের একদফা দাবিতে খুলনা বিভাগীয় রোডমার্চকে ঘিরে চাঙা বিএনপির তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। আগামী ২৬ মার্চ ঝিনাইদহ থেকে শুরু হয়ে ১৬০ কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করে খুলনা নগরীর জিয়া হলের সামনে সমাবেশের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে। রোড মার্চকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে নগরীর প্রবেশ দ্বারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপুর্ণ মোড়ে দুই শতাধিক তোরণ, নগরীর যশোর রোড, কেডিএ এভিনিউ, মজিদ সরণিসহ দলীয় কার্যালয়ে আলোকসজ্জার কাজ চলছে।’
রোড মার্চ কর্মসূচি সম্পর্কে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা বলেন, ‘২৬ সেপ্টেম্বরের রোড মার্চ আন্দোলনে নতুন মাত্রা যোগ করবে। অতীতের বিভাগীয় মহাসমাবেশ, তারুণ্যের সমাবেশের চেয়ে জনসমাগম বেশি হবে। বিএনপির আন্দোলনে সাড়া দিয়ে সাধারণ মানুষ রাজপথে নেমে এসেছে। আওয়ামী লীগ মানুষের ভোটের অধিকার চুরি করেছে। জনগণ এবার আর ভোট চুরি করতে দেবে না।’