ভিসা নীতি যে দেশের জন্য, সে দেশের সরকারের আলোচ্য বিষয় : ইসি আহসান হাবিব

ভিসা নীতি যে দেশের জন্য, সে দেশের সরকারের আলোচ্য বিষয় বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অব.)। আজ রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ভিসা নীতিতে বাংলাদেশের নির্বাচনের পক্ষে-বিপক্ষে কী প্রতিক্রিয়া হতে পারে জানতে চাইলে মো. আহসান হাবিব খান বলেন, ‘এটি কিন্তু যে দেশ করেছে, সে দেশের নীতি এবং যে দেশের জন্য এটি করা হচ্ছে, সে দেশের সরকারের আলোচ্য বিষয়। এই সম্বন্ধে কিন্তু ইলেকশন কমিশনের সাংবিধানিকভাবে যে দায়িত্ব আছে, সে কাজ করে যাবে এবং আপনারা দেখবেন, আমরা সঠিকভাবে কাজ করছি কি-না। আমাদের পক্ষের যে কাজগুলো আছে হান্ড্রেড পার্সেন্ট পূরণ করছি কি না, এটা আপনারা দেখবেন।’
বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রক্রিয়া শুরুর কথা গত শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) জানায় যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক বিবৃতিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, এই নিষেধাজ্ঞার কারণে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ বাধাগ্রস্ত হতে পারে। এ ছাড়া বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্তে দায়ী বা জড়িত বলে প্রমাণিত হলে তারাও ভবিষ্যতে এই নীতির আওতায় মার্কিন ভিসার জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, শুরু হওয়া প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশের বর্তমান এবং সাবেক কর্মকর্তা, বিরোধী ও ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের সদস্য এবং আইন প্রয়োগকারী, বিচার বিভাগ এবং নিরাপত্তা পরিষেবার সদস্যরা আছেন।
‘আমাদের আজকের পদক্ষেপগুলো বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে অবাধ ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচনে সমর্থনের জন্য’ উল্লেখ করে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী যারা গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে চায়, তাদের সমর্থনে যুক্তরাষ্ট্র এই প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখবে।’
এর আগে ২০২১ সালের ১০ ডিসেম্বর বাংলাদেশে র্যাব এবং এর সাবেক কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। পরে গত ২৭ মে বাংলাদেশকে উদ্দেশ করে ভিসা নীতি ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র।