সাত দিনের মধ্যে ১০০ দিনের পরিকল্পনা দিতে চাই : পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়কমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, ‘আমাদের নির্বাচনি ইশতেহার বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। কাজের প্রয়োজনে কোনো কাঠামো বদলের দরকার হলে সেটা করতে হবে। আগামী সাত দিনের মধ্যে ১০০ দিনের পরিকল্পনা দিতে চাই আমরা।’
আজ রোববার (১৪ জানুয়ারি) সকালে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে নিজের প্রথম কর্মদিবসে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মন্ত্রী। এদিন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং আওতাধীন দপ্তর ও সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের কর্মকাণ্ড ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে মতবিনিময় করেন তিনি।
নতুন পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন বলেন, ‘আমরা এক নম্বর মন্ত্রণালয় হতে চাই। আমার পক্ষ থেকে আইনের প্রতি শতভাগ স্বচ্ছতার সঙ্গে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আগামী সাতদিনের মধ্যে ১০০ দিনের পরিকল্পনা দিতে চাই।’
সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন অগ্রাধিকারমূলক কর্মাকাণ্ড অন্তর্ভুক্ত পূর্বক ১০০ দিনের কর্মপরিকল্পনা করে বাস্তবায়ন করা হবে। বায়ুদূষণ, শব্দদূষণ, পানিদূষণ, প্লাস্টিক-পলিথিন দূষণ এবং পাহাড় কর্তন রোধে স্টেকহোল্ডারদের পরামর্শ গ্রহণ করে সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহার এবং মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যান অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করা হবে।’
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ‘টেকসই উন্নয়ন, বন দখল রোধে আইনের যথাযথ প্রয়োগ করা হবে। আন্তর্জাতিক অর্থছাড়ের চেষ্টা করা হবে। পরিবেশ, বন, জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়কে পারফর্মেন্সের দিক দিয়ে এক নম্বরে নেওয়ার চেষ্টা করা হবে। মন্ত্রণালয়ের কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা করা হবে। দায়িত্ব পালনে কোনো বিতর্ক সৃষ্টি করা বা তদবির গ্রহণযোগ্য হবে না। গণমাধ্যমকে সার্বিক সহায়তা করা হবে, মিডিয়ার সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করব। এ ছাড়াও পরিবেশ দূষণ রোধে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরগুলোর সক্রিয় অংশগ্রহণ প্রয়োজন, তাই অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করব।’
মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) ড. ফাহমিদা খানম, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ এবং বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরীসহ মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তরপ্রধান এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভার শুরুর আগে পরিবেশ অধিদপ্তর, বন অধিদপ্তর, বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ বন শিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশন, বাংলাদেশ ন্যাশনাল হারবেরিয়াম, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট এবং বাংলাদেশ রাবার বোর্ডের প্রধানসহ বিভিন্ন সংস্থা ও সমিতির নেতারা মন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।