চট্টগ্রামের ডিসি-এসপিসহ চারজনকে তলব
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় কৃষি জমির উপরিভাগের মাটি (টপসয়েল) কাটার ওপর নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রতিপালন না হওয়ায় ব্যাখ্যা জানতে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার, সাতকানিয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) অনলাইনে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আজ মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুর ১টায় অনলাইনে যুক্ত হয়ে এ বিষয়ে তাদের ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী উজ্জল পাল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
চট্টগ্রামে সাতকানিয়ায় নির্বিচারে কাটা হচ্ছে ফসলি জমির টপ সয়েল। কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছে না ফসলি জমির মাটিকাটা। রাতের অন্ধকারে যে যেভাবে পারছে, স্কেভেটর (মাটি খননযন্ত্র) দিয়ে ফসলি জমির মাটি কেটে ডাম্পারযোগে (মিনি ট্রাক) ইটভাটায় সরবরাহ করা হচ্ছে। উপজেলার প্রতিটি এলাকায় সিন্ডিকেট করে মাটি কাটার মহোৎসব চলছে।
এ বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে আব্দুল মুনাফ নামের স্থানীয় একজন স্থানীয় বাসিন্দা হাইকোর্টে রিট করেন। ওই রিটের শুনানি শেষে ১৯ মার্চ টপসয়েল কাটার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এ আদেশের পরও টপসয়েল কাটা অব্যাহত থাকার বিষয়টি আদালতের নজরে আনা হয়। এরপর আদালত সংশ্লিষ্টদের অনলাইনে তলব করেন।
এদিকে, সাতকানিয়ায় গভীর রাতে কৃষি জমির উপরিভাগের মাটি (টপসয়েল) কাটার সময় আটক দুইজনকে কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।