আপগ্রেড ভোটার তালিকা চায় বিএনপি : ড. মঈন খান
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য সঠিক ভোটার তালিকা প্রণয়নে বাড়ি বাড়ি যাওয়া নয়, তালিকার আপগ্রেডেশন চায় বিএনপি। আজ সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের নির্বাচন সংস্কার বিষয়ক কমিটির আহ্বায়ক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান এ কথা বলেন।
ড. মঈন খান বলেন, ‘আসলে সত্যিকার অর্থে অনেস্টলি সঠিক ভোটার তালিকা আমরা করতে চাই… তাহলে কিন্তু আমরা বাড়ি বাড়ি যাওয়া নয়, আমরা কম্পিউটার এআই দিয়ে… আজকে কিন্তু আমরা কম্পিউটারকে বলে দিলে সে নিজেই করে দিতে পারে… সেটা এ্যাবসুলেটলি একুয়রেট হবে।’ তিনি বলেন, ‘কোনদিন কে ১৮ বছর হয়ে যাবো সেটাও কিন্তু কম্পিউটার করে দিতে পারে। সেটার জন্য বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের বাড়ি বাড়ি যাওয়ার প্রয়োজন নেই। বাড়ি বাড়ি যাওয়া এটা অত্যন্ত সময় সাপেক্ষ এবং অপ্রয়োজনীয় এবং এটাতে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। যিনি মারা গেছেন তার নামটা অটোমেটিক্যালি বাদ চলে যাবে…। এই বিষয় (ভোটার তালিকা) আমরা সংস্কার প্রস্তাবে স্পষ্ট করেছি এটা আপগ্রেড হবে।’
ড. মঈন খান বিগত সরকারের আমলে আরপিও সংশোধনে যে সম্পুরক আদেশ এনেছিল তা বাতিল, নির্বাচনি পরিচালনায় কিছু বিধিমালা সংশোধন, রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের জন্য আচরণবিধিমালা এবং রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের নীতিমালা সংশোধন, নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নীতিমালা আপগ্রেড করা, নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতা বৃদ্ধি, গণমাধ্যমের নির্বাচনি আচরণ বিধিমালাসহ ১০ দফা সংস্কার প্রস্তাব তুলে ধরেন। এই সংস্কার প্রস্তাবসমূহ তারা সরকারের গঠিত নির্বাচন সংস্কার কমিশনের কাছে দিয়েছেন।
ড. মঈন খান বলেন, ‘লেভেল প্ল্যায়িং ফিল্ড তৈরি জন্য যাতে সত্যিকার ভাবে মানুষ নিজের ভোট নিজে দিতে পারে এবং জনগনের সত্যিকার প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারে, ডামি প্রতিনিধি না, ভুয়া প্রতিনিধি না, সেজন্য আমাদের এই সংস্কার প্রস্তাব। প্রশাসনের মাধ্যমে নির্বাচনকে কুক্ষিগত করতে বিগত সরকার অনেক কিছু করেছে। আমাদের বক্তব্য হচ্ছে, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী তারা যাতে ভূমিকা পালন করতে পারে, তারা যাতে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে সেজন্য আমরা ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রণয়ন করা বিধিমালার সংশোধন চেয়েছি।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, সালাহ উদ্দিন আহমেদ, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ইসমাইল জবিহউল্লাহ প্রমুখ।