ক্ষুদে ফুটবলার সোহানের দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান

ফুটবলে অসাধারণ প্রতিভার স্বাক্ষর রাখা চাঁদপুরের মাত্র ছয় বছর বয়সী ক্ষুদে ফুটবলার সোহানের দায়িত্ব নিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক সাফ জয়ী অধিনায়ক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক সোহানের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে ফুটবল সরঞ্জাম ও নগদ অর্থ উপহার দেন।
সোহান চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলার জহিরাবাদ ইউনিয়নের সাড়ে পাঁচআনী গ্রামের মো. সোহেল প্রধানের ছেলে। মাত্র আড়াই বছর বয়সে ফুটবলের প্রতি ভালোবাসা তৈরি হয় তার, যখন তার দাদা মৃত শাহ আলম প্রধান প্রথম ফুটবলটি কিনে দেন। সেই থেকে বাবার কাছেই শুরু হয় প্রাথমিক প্রশিক্ষণ।
সোহান এখন সাড়ে পাঁচ বছর বয়সেই ফুটবল নিয়ে অনায়াসে ড্রিবলিং ও স্কিল দেখিয়ে তাক লাগাচ্ছে অনেককে। তার খেলার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে তা নজরে আসে তারেক রহমান ও আমিনুল হকের।
এরপরই সরাসরি সোহানের বাড়িতে যান জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক। সেখানে তিনি সোহানের হাতে ফুটবল সরঞ্জাম ও কিছু নগদ অর্থ তুলে দেন। পাশাপাশি ঘোষণা দেন-সোহানের পড়াশোনা ও খেলাধুলার সব দায়িত্ব নিয়েছেন তারেক রহমান।
সোহানের বাবা মো. সোহেল প্রধান বলেন, ‘আমি এই দেশে জন্ম নিয়ে সার্থক। আমার ছেলের প্রতিভা আজ স্বীকৃতি পেয়েছে। তারেক রহমান ও আমিনুল হক যেভাবে পাশে দাঁড়িয়েছেন, তা কখনও ভুলবার নয়। সবার দোয়া ও সহযোগিতা থাকলে আমার ছেলে একদিন বড় ফুটবলার হবে।’
জাতীয় দলের সাবেক সাফ জয়ী অধিনায়ক আমিনুল হক বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নজরে সোহানের ফুটবল খেলার ভিডিও দৃশ্যমান হয়। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে সোহানের পড়াশোনা থেকে শুরু করে খেলাধুলার সকল দায়িত্ব গ্রহণ করেন। সোহানের জন্য ফুটবল খেলার সকল সরঞ্জাম ও কিছু নগদ অর্থ প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া প্রতিমাসে সোহানের জন্য তারেক রহমান একটি সম্মানজনক অর্থ প্রদান করবেন। সোহানের পরিবার যেন আর্থিকভাবে সচ্ছলতা ফিরে পায়, সে লক্ষ্যে আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করব। আল্লাহ পাক যতদিন আমাদের বাঁচিয়ে রেখেছেন, বিএনপি সব সময় তাদের পাশে থাকবে।
আমিনুল হক আরও বলেন, আমরা প্রত্যেকটি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু করে, বেসরকারি ও সরকারি বিদ্যালয় এবং উচ্চ বিদ্যালয়গুলোতে পাঁচটি ইভেন্ট বাধ্যতামূলক করে শিক্ষার্থীদের খেলার সুযোগ করে দেব। বিশেষ অলিম্পিক গেমস, সাউথ এশিয়া গেমস কিংবা সাফ গেমসে বাংলাদেশ যেসব ইভেন্টে ভালো করে, সেসব ক্ষেত্রেই শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করতে পারবে। এর মাধ্যমে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে একটি সুস্থ জাতি হিসেবে উপহার দিতে চাই।