গত বছর ৩১০ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা, ৬১ শতাংশই নারী : জরিপ
সারাদেশে তরুণ-তরুণীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়ে গেছে। উচ্চ আকাঙ্খা, সামাজিক অবক্ষয়, হতাশা, পারিবারিক মূল্যবোধসহ নানা কারণে এ হতাশা থেকে আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ২০২৪ সালে সারাদেশে ৩১০ শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। তাদের মাঝে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীও রয়েছেন। এর মধ্যে ৬৫ শতাংশের বেশি কৈশোর বয়সের রয়েছে।
আজ শনিবার (১৮ জানুয়ারি) আঁচল ফাউন্ডেশন আয়োজিত অনলাইনে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি। তারা বলছে, আত্মহত্যাকারীদের মধ্যে ৪৬ দশমিক এক শতাংশ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থী।
বয়সভিত্তিক পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ১৩ থেকে ১৯ বছরে বয়ঃসন্ধিকালীন শুরু থেকে কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে আত্মহত্যার হার সবচেয়ে বেশি। ২০২৪ সালের মোট আত্মহত্যাকারী মানুষের প্রায় ৬৫ দশমিক সাত শতাংশ এই বয়সসীমার মধ্যে। আত্মহত্যার তালিকায় এরপরই রয়েছে ২০ থেকে ২৫ বয়সসীমা যুবক-যুবতীরা।
অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. সায়্যেদুল ইসলাম সায়েদ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও গবেষক ড. মো. জামাল উদ্দীন, আইনজীবী ও লেখক ব্যারিস্টার নওফল জামির, আঁচল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তানসেন রোজ প্রমুখ।