শেখ হাসিনাকে ফেরত না দিলে প্রত্যর্পণ চুক্তি আইন লঙ্ঘন হবে : আইন উপদেষ্টা
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, ভারত শেখ হাসিনাকে ফেরত না দিলে দুই দেশের প্রত্যর্পণ চুক্তি আইন লঙ্ঘন হবে। ইতোমধ্যে ইন্টারপোলের মাধ্যমে ইতোমধ্যে রেড আলার্ট জারি করা হয়েছে। প্রয়োজনে আমরা আন্তর্জাতিক সহায়তা নেব।
আজ মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বিকেলে সচিবালয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমরা প্রত্যর্পণের জন্য চিঠি লিখেছি। এরপর ভারত যদি শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণ না করে, তবে এটা বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের যে প্রত্যর্পণ চুক্তি, সেটার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হবে। সে ব্যাপারে আমরা বিশ্বসমাজে পদক্ষেপ নেব; সেটা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ঠিক করা হবে।’
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এরই মধ্যে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে জানিয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের যা যা করণীয় আছে, আমরা করে যাচ্ছি। আরও কিছু করণীয় থাকলে ক্ষেত্রবিশেষে চিন্তা করে আমরা করব।’
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচার শুরু হয়েছে। প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে চিঠি দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
আইন উপদেষ্টা বলেন, সারাদেশে গায়েবি মামলা বাছাই করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ২৫টি জেলায় আড়াই হাজার গায়েবি মামলা চিহ্নিত করা হয়েছে। আগামী সাত দিনের মধ্যে তা প্রত্যাহার করা হবে। সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা প্রত্যাহার করা হবে। ইতোমধ্যে ৩৩২টি মামলা চিহ্নিত করে এ সপ্তাহে ৩১২টি প্রত্যাহার করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি নিয়োগ অধ্যাদেশ গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়েছে।’
এ গেজেট অনুযায়ী আপিল বিভাগ ও আটর্নি জেনারেলসহ ছয় সদস্যর একটি কমিশন গঠন করা হয়েছে। দক্ষ ও যোগ্য লোকদের নিয়োগের জন্য সাক্ষাৎকার নেবে কমিশন। নীতিমালার আলোকে যে কেউ আবেদন করতে পারবে।
আইন উপদেষ্টা বলেন, বিয়ের কাবিননামায় দীর্ঘদিন আমরা কিছু শব্দ নিয়ে অনেক আপত্তি শুনেছি, বিয়ের কাবিননামায় কুমারি শব্দ প্রত্যাহার করে শুধু অবিবাহিত শব্দ থাকবে। এছাড়া বিয়ের ক্ষেত্রে ট্যাক্স প্রত্যাহার করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি নিয়োগ অধ্যাদেশ গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়েছে। এ গেজেট অনুযায়ী আপিল বিভাগ ও আটর্নি জেনারেলসহ ৬ সদস্যের একটি কমিশন গঠন করা হয়েছে। দক্ষ ও যোগ্য লোকদের নিয়োগ বাছাই করার পর সাক্ষাৎকার নেবে কমিশন। নীতিমালার আলোকে যে কেউ আবেদন করতে পারবে।