বিশ্ব ইজতেমা : রেলপথ ও ঢাকা-ময়মনসিংহ হাইওয়ের ব্লকেড কর্মসূচি প্রত্যাহার শিক্ষার্থীদের
বিশ্ব ইজতেমার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের কথা বিবেচনা করে আজকের জন্য রেলপথ ও ঢাকা-ময়মনসিংহ হাইওয়ে সড়কে ব্লকেড কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে আন্দোলন করা তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা। তবে, নর্থ সিটির ভেতরে অন্য সড়কগুলোয় ব্লকেড কর্মসূচি চলমান থাকবে।
আজ রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সরকারি তিতুমীর কলেজের মূল ফটকে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন শিক্ষার্থীরা।
তবে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করবে। বর্তমানে শিক্ষার্থীরা তিতুমীর ক্যাম্পাসের মূল ফটকের সামনে অবস্থান নিয়েছে এবং রাস্তা অবরোধ করেছে।
দুপুরে ক্যাম্পাসের সামনে সংবাদ সম্মেলনে ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী আলী আহমদ বলেন, আজ বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাত ছিল। এতে সারাদেশ থেকে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা অংশগ্রহণ করেন। সেজন্য তাদের কথা চিন্তা করে আমরা শুধু আজকের জন্য আমরা রেলপথ ও ঢাকা-ময়মনসিংহ হাইওয়ে সড়কে ব্লকেড কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছি। কিন্তু নর্থ সিটির ভেতরে অন্য সড়কগুলোয় ব্লকেড কর্মসূচি চলমান থাকবে।
আলী আহমদ বলেন, তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ের করা দাবি গত ২৮ বছরের। জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানে গঠিত সরকারের কাছে নতুন করে দাবি পূরণের আবদার করেছি। এজন্য যতগুলো মাধ্যম ছিল, সব কটি মাধ্যমেই আমরা দাবি জানিয়েছি। সেখান থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে সর্বশেষ আমরা অনশন কর্মসূচি দেই। আজ অনশনের পঞ্চম দিনে এসেই রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষ কোনো সাড়া দেয়নি।
আলী আহমদ আরও বলেন, আমাদের ৩৫ হাজার শিক্ষার্থী দেখছে, তাদের ভাইয়েরা এখানে অনশন করে মরে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। কিন্তু রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষ সাড়া দিচ্ছে না। তাই তারা আল্টিমেটাম দিয়েছে ব্লকেড টু ঢাকা নর্থ সিটি।
এর আগে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বেলা ১২টার দিকে আমতলী সড়কে অবস্থান নেয় তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা। গতকাল শনিবার রাতে দ্রুত দাবি বাস্তবায়ন করা না হলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা। তারা বলেছেন, জনভোগান্তি করতে চাই না, অল্প সময়ের জন্য গুলশান ও মহাখালী অবরোধ করে বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করছি আমরা।
শুক্রবারের ধারাবাহিকতায় শনিবারও (১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার পর গুলশান-১ আটকে সড়কে অবস্থান নেয় তিতুমীরের শিক্ষার্থীরা। তারা এদিন বিকেল চারটার পর থেকে তাদের কর্মসূচি শুরু করেন। এরপর সাতটার দিকে গুলশান সড়ক ছেড়ে দিয়ে মহাখালীর আমতলীতে ফিরে আসেন শিক্ষার্থীরা।
পরে শিক্ষার্থীরা সাংবাদিকদের জানান, জনদুর্ভোগ তৈরি না করা ছাড়া রাষ্ট্র কথা বলতে চায় না, সরকারকে এ ধারা থেকে বের হতে হবে। আমাদের ‘বারাসাত ব্যারিকেড টু নর্থ সিটি’ কর্মসূচি চলবে।