জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেছেন, দেশ এক ক্রান্তিলগ্নে পার করছে। ৬মাস আগে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার সরকার পদত্যাগ করে পলায়ন করলেও তার অশুভ প্রেতাত্মা বাংলাদেশের আনাচে কানাচে এখনও ঘোরাফেরা করছে। তারা একটার পর একটা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে। দিল্লিতে বসে একটার পর একটা উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে শেখ হাসিনা এ দেশের শান্তিময় পরিবেশকে অশান্ত করে তুলছে। জাতীয় পার্টি হানাহানির রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। 

আজ শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে চৌদ্দগ্রাম পৌর মিলনায়তনে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা জাতীয় পার্টি (জাফর) আয়োজিত কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোস্তফা জামাল হায়দার এসব কথা বলেন।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আরও বলেন, আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টির চৌদ্দগ্রাম আসনে প্রার্থী হবে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য (কাজী জাফরের ভাতিজা) কাজী নাহিদ। ইনশাআল্লাহ আমরা বিজয়ের মাধ্যমে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে এ আসন উপহার দিব।

সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও সাবেক এমপি আহসান হাবিব লিংকন বলেন, আজকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আগামীর চৌদ্দগ্রামের কাণ্ডারি হিসেবে কাজী নাহিদকে আপনাদের হাতে তুলে দিলাম। আপনারা তাকে আগামী নির্বাচনে বিজয়ী করে সংসদে পাঠাবেন। যাতে তিনি চাচা কাজী জাফর আহমেদের মতো বাংলাদেশের জাতীয় রাজনীতিতে অবদান রাখতে পারেন। 

জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী নাহিদ বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন, কাজী জাফর ৮ম প্রধানমন্ত্রী হয়ে এ দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম জনগণের ধর্ম ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন। আজ থেকে ৪০ বছর আগে তিনি চৌদ্দগ্রামে বিদ্যুৎ এনে দিয়েছিলেন। যখন দেশের অধিকাংশ উপজেলায় সরকারি কলেজ ছিল না তখন তিনি চৌদ্দগ্রামবাসীকে দুটি সরকারি কলেজ উপহার দিয়েছেন।

চৌদ্দগ্রাম উপজেলা যুব সংহতির সাবেক সভাপতি মনিরুল ইসলাম মনিরের সভাপতিত্বে ও উপজেলা যুব সংহতির আহ্বায়ক কাজী শহিদের সঞ্চালনায় কর্মী সভায় আরও বক্তব্য দেন চৌদ্দগ্রাম উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ চৌধুরী পাশা, উপজেলা জাতীয় পার্টির নেতা ওবায়দুল হক পাটোয়ারী, আলকরা ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম, সদস্য সচিব আবুল কালাম আজাদ বাবুল, গুনবতী ইউনিয়নের আহ্বায়ক জানে আলম, সদস্য সচিব জাকির হোসেন জিকির, মুন্সীরহাট ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক নুর হোসেন, ইউনিয়ন নেতা আবদুল মালেক, বাতিসা ইউনিয়ন যুব সংহতির আহ্বায়ক মাহফুজ প্রমুখ। 

সভা শেষে সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ চৌধুরী পাশাকে সভাপতি, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা যুব সংহতির সাবেক সভাপতি মনিরুল ইসলাম মনিরকে সাধারণ সম্পাদক ও ওবায়দুল হক পাটোয়ারীকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ১০১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন।