সারাদেশে ৭০০-৮০০ আয়নাঘর আছে : প্রেস সচিব
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2025/02/12/pres_scib.jpg)
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, গুম কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী এবং নিরাপত্তা বাহিনী যে তদন্ত করছে তার ভিত্তিতে ধারণা করা হচ্ছে সারাদেশে ৭০০ থেকে ৮০০ আয়নাঘর রয়েছে। এ ধরনের ঘর আরও বের হচ্ছে। তাতে বোঝা যাচ্ছে এটি শুধু ঢাকায় মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না, প্রত্যন্ত অঞ্চলেও ছিল।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে শফিকুল আলম এ কথা বলেন।
প্রেস সচিব বলেন, ‘আয়নাঘর ঢাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না, প্রত্যন্ত অঞ্চলেও ছিল। বাংলাদেশে যত আয়নাঘর রয়েছে সব খুঁজে বের করা হবে।
শফিকুল আলম আরও বলেন, হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদনে স্পষ্ট লেখা আছে, গুম ও খুনের সঙ্গে পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরাসরি জড়িত ছিল, তার নির্দেশেই এগুলো হয়েছে।
প্রেস সচিব বলেন, আমরা তিনটি এলাকায় আয়নাঘর পরিদর্শন করেছি। তার মধ্যে দুটি র্যাবের, আর একটি ডিজিএফআইয়ের। সেখানে বন্দিদের কীভাবে রাখা হতো, নির্যাতন করা হতো, কীভাবে সময় কাটিয়েছেন, কেউ কেউ সেখানে সাত থেকে আট বছর কাটিয়েছেন, তার বর্ণনা আসলে প্রকাশ করার মতো না। এই পরিদর্শনে এগুলো প্রকাশ পায়। প্রধান উপদেষ্টা প্রতিটি স্পটে গিয়েছেন। সেখানে যারা বন্দি ছিলেন তারা তাদের সঙ্গে হওয়া ঘটনাগুলো প্রধান উপদেষ্টাকে বর্ণনা করেছেন।
শফিকুল আলম আরও বলেন, আয়নাঘরের আলামত নষ্ট করা হয়েছে কিনা সেটা গুম কমিশন দেখছে। যে মামলাগুলো হচ্ছে সেগুলো আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটররা দেখছেন। প্রত্যেকটি আয়নাঘর এভিডেন্স হিসেবে সিলগালা করা থাকবে। কারণ, আমাদের লিগ্যাল প্রসেসে এগুলো সময় লাগবে। গুম কমিশন বলবে আলামত আদৌ নষ্ট হয়েছে কিনা। কিছু কিছু জায়গা দেখেছি যে প্লাস্টার করা হয়েছে। কিছু জায়গায় রুম ছোট ছিল, দেওয়াল ভেঙে বড় দেখানো হয়েছে। এসব বিষয় গুম কমিশন এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল দেখবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও অপূর্ব জাহাঙ্গীর, সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহমদ।