ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন হতে পারে : ড. ইউনূস
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2025/02/14/yunus.jpg)
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূস বলেছেন, ডিসেম্বরের মধ্যে হবে বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন। তবে সংস্কারের প্রয়োজনে বাড়তি তিন মাস সময় লাগতে পারে। এ ছাড়া শেখ হাসিনা ও তার দোসদের ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে।
সংযুক্ত আরব আমিরাত ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনালকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা।
বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনের তারিখ নিয়ে যখন রাজনৈতিক মহলে তর্ক-বিতর্ক চলছে, তখন দুবাই সফররত অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা আবারও জানালেন, কবে হবে নির্বাচন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আমরা আশা করছি, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান হবে। তবে, সংস্কারের জন্য প্রয়োজন হলে আসছে বছরের প্রথম তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন হবে। একটি যথাযথ, বিশ্বাসযোগ্য, দৃশ্যমান ও স্বচ্ছ নির্বাচন হবে। জনগণ এটা উদযাপন করবে।’
সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নির্বাচন ছাড়াও শেখ হাসিনা, দেশ সংস্কারসহ আরও বিভিন্ন প্রসঙ্গে কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা।দেশ সংস্কারের জন্য গঠিত ১৫টি কমিশনের সুপারিশ নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠনের কথাও তুলে ধরেন তিনি। এ ছাড়া ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের শাস্তির মুখোমুখী করা হবে বলেও জানান তিনি।
ড. ইউনূস বলেন, ‘আমরা শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে ভারতকে চিঠি পাঠিয়েছি। শেখ হাসিনা ও তার সমর্থকেরা যা করেছে, তার এক গাদা প্রমাণ আমাদের হাতে আছে। আমরা ইতোমধ্যেই আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেছি। আমরা হাসিনাকে বিচারের আওতায় আনব। তা না হলে মানুষ আমাদের ক্ষমা করবে না।’
বাংলাদেশের সংস্কার কার্যক্রম নিয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানান, তিনি ও তার উপদেষ্টামণ্ডলীর মনোযোগ এখন সমৃদ্ধশালী নিরাপদ জাতি গঠনের জন্য সংস্কার কাজে নিবদ্ধ। তিনি বলেন, ‘আমরা সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো গ্রহণ করেছি এবং সব রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজের কাছে জিজ্ঞাসা করেছি, আপনি কোনটি এখন বাস্তাবায়ন করতে চান, কোনটি ভবিষ্যতে বাস্তবায়ন করতে চান আর কোনটি একেবারেই বাস্তবায়ন করতে চান না।’