প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, বিমানের টিকিট মজুত করে কৃত্রিমভাবে দাম বাড়ানোর চেষ্টা করলে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। আজ শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) তার ফেসবুক ভেরিফায়েড প্রোফাইলে পোস্ট করে এ কথা জানান তিনি।

‘বিমানের টিকেটের মূল্য’ শিরোনামে স্ট্যাটাসে ড. আসিফ নজরুল বলেন, ‘সম্প্রতি সৌদি আরব সফর শেষে দেশে ফিরি। এসেই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে বিমানের টিকিটের উচ্চমূল্য নিয়ে প্রবাসীদের অভিযোগ ও ভোগান্তির কথা বলি। উনার উদ্যোগে পরদিনই উচ্চ পর্যায়ের একটি সভায় তিনি এ বিষয়ে কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা দেন। এরপর প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সভায় এগুলো আরও বিস্তারিতভাবে ঠিক করা হয়।’

আসিফ নজরুল বলেন, ‘এসব সভার আলোকে ১১ ফেব্রুয়ারি ও ১৩ ফেব্রুয়ারি জারি করা বেসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রণালয়ের দুটো সার্কুলারে বিমানের টিকিট নিয়ে ভোগান্তি রোধে সুনির্দিষ্ট কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ১৩ তারিখের সার্কুলারে প্রবাসী কর্মীদের জন্য সৌদী আরবগামী যেকোনো বিমানের টিকিটের দাম ৩৬০ ডলার ধার্য করা হয়। আগে এটি ছিল জেদ্দায় ৪৮০, মদিনায় ৪৩০ ও রিয়াদ বা দাম্মামে ৪০০ ডলার। মালেয়শিয়ার জন্য এটি ১৭৫ ডলার থেকে কমিয়ে ১৫০ ডলার ধার্য করা হয়।

উপদেষ্টা বলেন, ‘বিমান বা যেকোনো এয়ারলাইনে টিকিটের উচ্চমূল্যের জন্য একটি বড় কারণ হচ্ছে টিকিট কালোবাজারী। এটি রোধ কল্পে ১১ তারিখের সার্কুলারে যাত্রীদের নাম ও পাসপোর্ট কপি ছাড়া গ্রুপ টিকিট বুকিং নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং বুকিং দেওয়ার তিন দিনের মধ্যে টিকিট না কিনলে তা বাতিল করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সব এয়ার টিকিট অনলাইনে বিক্রয়ের ব্যবস্থা ও এর মূল্য অনলাইনে ও টিকিটের গায়ে প্রদর্শনের আদেশ দেওয়া হয়েছে। টিকিট মজুত করে কৃত্রিমভাবে মূল্য বৃদ্ধির চেষ্টা করা হলে শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ড. আসিফ নজরুল বলেন, ‘এখন সম্ভবত আরেকটা ব্যবস্থা নিতে হবে। তা হচ্ছে সাধারণ মানুষের জন্য বিকাশের মাধ্যমে অনলাইনে টিকিট কেনার সুযোগ সৃষ্টি করা। ইনশাল্লাহ্, এটি সম্ভব করার জন্য আমরা চেষ্টা করব।’