‘মেঘনা আলমের গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া ঠিক হয়নি, তবে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে’

মডেল মেঘনা আলমের গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া সঠিক হয়নি, তবে তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
আজ রোববার (১৩ এপ্রিল) সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।
ড. আসিফ নজরুল বলেন, মডেল মেঘনার ব্যাপারে কিছু অভিযোগ আছে। সেসব বিষয় তদন্ত করা হচ্ছে। তবে তার গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া ঠিক হয়নি। তার ব্যাপারে যাচাই-বাছাই করে খুব দ্রুত ব্যবস্থা নেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ড. আসিফ নজরুল আরও বলেন, ‘বিগত সরকারের আমলে ৭ হাজার ১৮৪টি রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হয়েছে। অনেক সময় এমন মামলা আসে, যেটা রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা না। এ বিষয়ে আমাদের অফিসাররা খুব আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে।’
আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে যে বিপুল পরিমাণ টাকা হ্যাকিং করা হয়েছে, সেটা নিয়ে একটি রিভিউ কমিটি করা হয়েছিল। সেই কমিটিতে আমি প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। এ কমিটিতে গভর্নরসহ অনেকে রয়েছেন। ব্যাংক থেকে দুই বিলিয়ন ডলার লুট করার পরিকল্পনা ছিল। এটা বাংলাদেশকে লুট করার একটা পরিকল্পনা ছিল। এটা হলে আমরা দুর্ভিক্ষে পড়ে যেতাম।’
আইন উপদেষ্টা আরও বলেন, বিগত সরকার এটার তদন্ত করতে গড়িমসি করেছে। এটা নিয়ে সিআইডি যে তদন্ত করেছিল, সেখানে স্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে যেসব কর্মকর্তারা জড়িত ছিল, তাদের নাম তদন্ত কমিটি থেকে বাদ দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। সিআইডি রিপোর্টে প্রাথমিকভাবে যাদের নাম এসেছিল তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল, সেটা জানতে চেয়েছি এবং পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, মিস আর্থ বাংলাদেশ-২০২০ বিজয়ী মডেল মেঘনা আলমকে ঢাকায় তার বাসা থেকে পুলিশ আটক করার দুদিন পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। আদালত তার বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিনের আটকাদেশ দেন।