কিশোরগঞ্জে ধনু নদীর ভাঙনে হুমকির মুখে ২০০ বসতভিটা

কিশোরগঞ্জে ইটনা উপজেলার সদর ইউনিয়নের এরশাদনগর গ্ৰামের কোল ঘেঁষে বয়ে গেছে ধনু নদী। দিনদিনই এ নদী ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করছে। সকাল-সন্ধ্যায় নদী ভাঙন এখন দুই হাজার মানুষের ২০০ বসতভিটাসহ বনবাঙ্গা সরকারি আবাসন প্রকল্পকে হুমকির মুখে ফেলেছে।
গতকাল শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এরশাদনগর গ্ৰামের প্রায় কয়েক একর আবাদি জমি ভাঙতে ভাঙতে এখন গ্ৰামে এসে লেগেছে। ইতোমধ্যে কিছু বাড়িঘর ভেঙে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। নদী ভাঙন এখন এলাকাবাসীর কাছে আতঙ্ক।
জরুরি স্থায়ী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গ্ৰহণ না নেওয়া হলে আগামী কয়েক বছরে এরশাদনগর গ্ৰাম ও সরকারি আবাসন প্রকল্পের ১৬টি ঘর বিলীন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানান, নদী ভাঙন কয়েকবছর ধরেই তীব্র আকার ধারণ করেছে। জরুরি ভিত্তিতে গ্ৰামের সামনে স্থায়ীভাবে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে পরিবার-পরিজন নিয়ে পথে বসতে হবে। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি এলাকাবাসীর।
এরশাদ নগরের মো. ফুল মিয়া জানান, কয়েক বছর ধরে নদী ভাঙন শুরু হয়েছে। এতদিন ফসলের জমি ভেঙে নদীতে বিলীন হয়েছে এখন বাড়ির সামনে এসেছে। জরুরি ভিত্তিতে গ্ৰাম প্রতিরক্ষার স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া না হলে বাড়িঘর নদীতে বিলীন হবে।
একই গ্রামের চাঁন মিয়া বলেন, নদী ভাঙতে ভাঙতে বাড়ির কাছে আসতেছে। সরকারের কাছে আকুল আবেদন অতি তাড়াতাড়ি যেন নদী ভাঙন ফেরানোর একটা ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
সরকারি আবাসন প্রকল্পের সুবিধাভোগী কুলসুম বলেন, সরকার আমাদের ভূমিহীনদের ঘর বাড়ি তৈরি করে দিয়েছে। এখন বাড়িঘর নিয়ে চিন্তায় আছি। দিনদিনই নদী ভাঙতে ভাঙতে বাড়ির সামনে আসতেছে। তাড়াতাড়ি সরকার ব্যবস্থা নিলে আমাদের রক্ষা।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ইটনা উপজেলার বিভিন্ন গ্ৰামকে নদী ভাঙন থেকে রক্ষা করার জন্য স্থায়ী গ্ৰাম প্রতিরক্ষার ব্যবস্থা নেওয়ার হয়েছে। ইতোমধ্যে সদর ইউনিয়নের বড় বাজার জেটি ঘাট থেকে নতুন বাজার পর্যন্ত এবং এলংজুরী ইউনিয়নে গ্ৰাম প্রতিরক্ষা স্থায়ী ব্যবস্থার কাজ শুরু হয়েছে।
কিশোরগঞ্জ জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. মাহবুব আলম জানান, এরশাদনগর গ্ৰামের নদী ভাঙনের বিষয়ে উপ-সহকারী প্রকৌশলীর মাধ্যমে খোঁজখবর নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করে বরাদ্দ চাওয়া হবে এবং বরাদ্দ প্রাপ্তির সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।