মধুমতি নদীর ভাঙনে বিলীন ঘরবাড়ি, আতঙ্কে পাঁচ গ্রামের বাসিন্দা

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার টগরবন্দ ইউনিয়নের শিকারপুর, টিটা পানাইল, কুমুরতিয়া, ইকড়াইল ও টিটা গ্রামের মধুমতি নদীপাড়ে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে অর্ধশতাধিক পরিবার বসতঘর হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে।
জানা গেছে, নদীর পানি বাড়ার ফলে দেড় কিলোমিটারজুড়ে তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। হুমকির মুখে রয়েছে প্রায় সাড়ে তিনশ পরিবার, ১০টি জামে মসজিদ, একটি কলেজ, দুটি হাইস্কুল, চারটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি মাদরাসা, একটি কমিউনিটি ক্লিনিক, পোস্ট অফিস, ঈদগাহ, কবরস্থান ও শত শত একর ফসলি জমি।
ইতোমধ্যে ইকড়াইলের একটি মসজিদ ও অনেক ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ইকড়াইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ও রয়েছে ঝুঁকিতে। আতঙ্কে অনেক শিক্ষার্থী স্কুলে যাচ্ছে না।
ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি, দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে পুরো পাঁচটি গ্রাম মধুমতিতে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ইতোমধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালকের কাছে লিখিত আবেদন জমা দিয়েছেন এলাকাবাসী।
আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাসেল ইকবাল জানান, নদী ভাঙন এলাকা গত বুধবার দুপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোক নিয়ে সরেজমিন পরিদর্শন করা হয়েছে। ফরিদপুর থেকে আবারও পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিনিয়র কর্মকর্তারা আসবেন। আশা করছি, কয়েকদিনের মধ্যে ভাঙন প্রতিরোধে কাজ শুরু হবে। নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে সরকারের পক্ষ থেকে সাহায্য সহযোগিতা করা হবে।