শহীদ জিয়ার দেওয়া রাজনীতির সুযোগ নিয়ে বিএনপির বিরোধিতা মানায় না : টুকু

শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নিষিদ্ধ জামায়াতকে প্রথম দেশে রাজনীতি করার সুযোগ দেন, তাদের মুখে বিএনপির বিরোধিতা শোভা পায় না বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
আজ মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পাবনার এডওয়ার্ড কলেজ মাঠে জেলা বিএনপি আয়োজিত সমাবেশ প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু এ মন্তব্য করেন।
নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা এবং ফ্যাসিবাদীদের নানা ষড়যন্ত্র মোকাবিলার দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা বিএনপি এই জনসভার আয়োজন করে।
ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব জনগণকে জাতীয় নির্বাচন উপহার দেওয়া। স্থানীয় নির্বাচন নির্বাচিত সরকার আয়োজন করবে। একটি দল আগে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন দিন বলে চিল্লাচ্ছে। স্থানীয় নির্বাচন আগে করা মানে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে আবারও মাঠে নিয়ে আসা। স্থানীয় নির্বাচন মানে পাড়ায় পাড়ায় ভাগ-বাটোয়ারার দ্বন্দ্ব।
ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু আরও বলেন, ফাঁসিকাষ্ঠে গিয়েও ইমান নষ্ট করিনি। নেতাকর্মীদের সঙ্গে প্রতারণা করিনি। আজকে মুক্ত বাতাসে নিঃশ্বাস নিচ্ছি। উত্তরবঙ্গের শ্রেষ্ঠ উৎসর্গ আবু সাঈদের জীবন দান। ছাত্ররা দুই হাজার জীবন দিয়েছে আর সাড়ে ১৫ বছরে বিএনপির চার হাজার নেতাকর্মী জীবন দিয়েছেন। আজকে সংস্কার সংস্কার করছি। আপনারা তো পরে সংস্কারের কথা বলছেন। ২০১৮ সালের আগেই বিএনপি সংস্কারের ৩১ দফা দিয়েছে।
আমরা সংস্কার নিয়ে প্রশ্ন তুলিনি, সংস্কার করবে কারা। সংস্কার করবে তো নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা। সংস্কার করেছেন বেগম খালেদা জিয়া। ৭১ অস্বীকার করে কোনো সংস্কার মানি না।
শেখ হাসিনা ভারতীয় মিডিয়ায় ইন্টারভিউ দিয়ে বলেছেন তাঁকে বাঁচিয়ে রেখেছেন বাংলাদেশের মানুষের জন্য। হাসিনাকে দেশে আসতে হবে রাজনীতি করার জন্য নয়, ফাঁসিকাষ্ঠে ঝুলার জন্য। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত খুনি ও হায়েনা শেখ হাসিনা। জাতিসংঘ প্রমাণ পেয়েছে সব খুন ও হত্যার সঙ্গে জড়িত শেখ হাসিনা।
ভারতকে হুঁশিয়ারি দিয়ে টুকু বলেন, আপনারা প্রতিবেশীর সঙ্গে ভালো ব্যবহার করুন। আপনি যদি বড় প্রতিবেশী হয়ে মোড়লগিরি করতে চান তাহলে দেশের মানুষ মেনে নেবে না। আপনারা বাংলাদেশের ভালো প্রতিবেশী তা আপনারা প্রমাণ করতে পারছেন না।
একটি দল বিএনপির বিরুদ্ধে অনেক অপপ্রচার চালাচ্ছে উল্লেখ করে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে এই বিএনপিনেতা বলেন, আপনারা মানুষের কাছে যান তাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করেন। জাতীয় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নেন।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিবের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাসুদ খন্দকারের সঞ্চালনায় জনসমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (রাজশাহী বিভাগ) অ্যাডভোকেট সৈয়দ শাহীন শওকত খালেক, সহসাংগঠনিক সম্পাদক (রাজশাহী বিভাগ) ওবায়দুর রহমান চন্দনসহ জেলা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী।