নলছিটির সুগন্ধা নদী যেন ময়লার ভাগাড়!

ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার সুগন্ধা নদীর তীরবর্তী লঞ্চঘাট এলাকায় উন্মুক্ত স্থানে ফেলা হচ্ছে ময়লা আবর্জনা। এসব ময়লা আবর্জনা ছড়িয়ে পড়ছে নদীতে। ফলে পানি ও বায়ু দূষিত হয়ে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়েছেন নদীর তীরে বসবাস করা স্থানীয় বাসিন্দারা।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, নদীর তীরবর্তী অংশে ময়লা আবর্জনা স্তূপ করে রাখা হয়েছে। তীব্র গন্ধে নাকাল হয়ে ওই এলাকা এড়িয়ে অন্যত্র দিয়ে চলাচল করছেন স্থানীয়রা। এ ছাড়া এসব আবর্জনার স্তূপ নদীর খুব কাছাকাছি হওয়ায় পানিতে ছড়িয়ে পড়ছে।
স্থানীয়রা জানান, ওই এলাকার অনেক পরিবার আছে যারা নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজে নদীর পানির ওপর নির্ভরশীল। ফলে নিম্ন আয়ের এসব বাসিন্দা বাধ্য হয়ে ময়লাযুক্ত পানি ব্যবহার করছেন।
সমাজকর্মী ও ব্যবসায়ী শাহাদাত ফকির জানান, নদীর তীরবর্তী লঞ্চঘাট সংলগ্ন বাজারে সপ্তাহে একদিন হাট বসে। সেদিন বিপুল ক্রেতা বিক্রেতার সমাগম ঘটে। কিন্তু আমাদের বাজারের কাছেই নদীর তীরে ঘেঁষে পৌর এলাকার সব ময়লা স্তূপ করা রাখা হচ্ছে। গন্ধে অনেক সময় দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। তাদের দাবি যতদ্রুত সম্ভব নলছিটিতে একটি আধুনিক ডাম্পিং স্টেশন করা হোক। তাতে পরিবেশও ভালো থাকবে স্থানীয় বাসিন্দাদেরও এসব সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না।
ব্যবসায়ী খন্দকার জাহিদুল ইসলাম বলেন, নলছিটি বন্দরটি নদীমাতৃক হওয়ায় দূরদূরান্ত থেকে অনেক ব্যবসায়ী নৌকায় করে এখানে তাদের মালামাল বিক্রি করতে আসেন। কৃষকরাও তাদের উৎপাদিত পণ্য নিয়ে আসেন। আর সেই নৌকা ঘাটের ঠিক পাশেই ময়লা আবর্জনার স্তূপ। এ ছাড়া মসজিদের মুসল্লিদেরও অজু-গোসলে সমস্য হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা জুয়েল গাজী বলেন, ‘এখানে ময়লা ফেলার কারণে যারা নদীর পানি দূষিত হচ্ছে। ফলে কেউ চাইলেও নদীর পানি ব্যবহার করতে পারছেন না। অনেকেই আবার এসব পানি ব্যবহার করে নানান পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। আবার দেখা যায়, বৃষ্টির সময় এই ময়লা আবর্জনা পানির সঙ্গে লোকালয়ে ছড়িয়ে পড়ে। এতে স্থানীয়রা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। আবার পরিবেশও দূষিত হচ্ছে।’
এ ব্যাপারে নলছিটি পৌরসভার প্রশাসক মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা ছিল না। যতদ্রুত সম্ভব ভালো একটা সমাধান খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হবে।’