অমানবিক নির্যাতনের মাস্টারমাইন্ড ছিলেন মহিউদ্দিন ফারুকী

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেছেন, আজ ট্রাইব্যুনালে দ্বিতীয় মামলায় শুনানি ছিল র্যাবের সাবেক কোম্পানি কমান্ডার এডিশনাল এসপি মহিউদ্দিন ফারুকীর বিরুদ্ধে। তার মামলাতে আমরা তিন মাস সময় চেয়েছি। আগামী ২৮ মে শুনানির পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজিরের পর সাংবাদিকদের তাজুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘ফারুকী অসংখ্য মানুষকে গুম করার সঙ্গে জড়িত। গুমের শিকার মানুষদের তার অফিসসহ বিভিন্ন আয়নাঘরে রেখে অমানবিক পন্থায় নির্যাতন করা হয়। নির্যাতনের বিষয়ে তিনি একজন মাস্টারমাইন্ড। তার এ বিষয়ে স্পেশাল কোয়ালিটি আছে। আয়নাঘর উন্মোচিত হওয়ার পর ভুক্তভোগীরা সাহসী হচ্ছেন। এক এক করে অভিযোগগুলো আমাদের ট্রাইব্যুনালে নিয়ে আসছেন। সেই অভিযোগের বিষয়ে আমরা তদন্ত কাজ পরিচালনা করছি।’
এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সাবেক পুলিশ প্রধান এবং এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালকসহ ১০ কর্মকর্তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। সকালে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার ও কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আসা দুটি পৃথক প্রিজন ভ্যানে হাজির করা হয় তাদের।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা এসব সাবেক কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন– সাবেক পুলিশ প্রধান (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসান, ঢাকা জেলার সাবেক পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহ আল কাফি, যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক (ওসি) আবুল হাসান, ডিএমপি মিরপুরের সাবেক ডিসি মো. জসিম উদ্দিন মোল্লা, ঢাকার সাবেক অতিরিক্ত সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহিদুর ইসলাম, ডিবি ঢাকা উত্তরের সাবেক পরিদর্শক মো. আরাফাত হোসেন এবং ডিএমপি গুলশান থানার সাবেক ওসি মো. মাজহারুল হক।
এছাড়া র্যাবের দুই সাবেক কর্মকর্তাকেও হাজির করা হয়। তারা হলেন—সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) মহিউদ্দিন ফারুকী ও বরিশাল রেঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলেপ উদ্দিন।
গত ২৭ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল প্রসিকিউশনের আবেদন মঞ্জুর করে তাদের হাজির করতে আদেশ দিয়েছিলেন।