অর্থ পাচার মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান

সিঙ্গাপুরে অর্থ পাচারের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে সাত বছরের দণ্ড থেকে খালাস দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
আজ বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) সকালে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বিভাগ এ রায় দেন।
আদালতে তারেক রহমান ও গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান, ব্যারিস্টার শেখ মোহান্মদ জাকির হোসেন এবং দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আসিফ হোসাইন।
সিঙ্গাপুরে অর্থ পাচারের অভিযোগের মামলায় গত ৪ মার্চ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের সাজা বাতিলের আবেদনের ওপর রায় ঘোষণার জন্য ৬ মার্চ দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গত বছরের ১০ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরে অর্থ পাচারের মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাত বছরের সাজা স্থগিত করেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে এ মামলায় ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের সাত বছরের সাজাও স্থগিত করা হয়। একইসঙ্গে তাদের জরিমানা স্থগিত করেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
সিঙ্গাপুরে অর্থ পাচারের অভিযোগে ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর একটি মামলায় ঢাকার একটি বিশেষ জজ আদালত তারেক রহমানকে খালাস দেন। ওই মামলায় বিশিষ্ট ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তারেক রহমানকে খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) হাইকোর্টে আপিল করেন। ওই আপিল শুনানি শেষে হাইকোর্ট ২০১৬ সালের ২১ জুলাই বিচারিক আদালতের খালাসের রায় বাতিল করে তারেক রহমানকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন। একইসঙ্গে ২০ কোটি টাকা জরিমানা করেন।