পুলিশের সাবেক দুই কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি

রাজধানীর উত্তরায় জুলাই আগস্ট গণহত্যার অভিযোগের মামলার তদন্তে পুলিশের সাবেক দুই কর্মকর্তাকে আলাদাভাবে দুদিন সেফ হোমে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত। সে অনুযায়ী পুলিশের সাবেক এসি (ডিবি) জাবেদ ইকবালকে আগামী ১৮ মার্চ এবং ওসি মজিবুর রহমানকে ১৬ মার্চ জিজ্ঞাসাবাদ করবে তদন্ত সংস্থা।
আজ রোববার (৯ মার্চ) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান কৌঁসুলি (চিফ প্রসিকিউটর) তাজুল ইসলাম এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘উত্তরায় গণহত্যার ঘটনার বিস্তারিত জানতে দুজনের ব্যাপারে আমরা জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করেছি। ট্রাইব্যুনাল আবেদন মঞ্জুর করেছেন। বিশেষ করে, এই দুই কর্মকর্তার নেতৃত্বে সেখানে (উত্তরায়) প্রায় দুই শতাধিক ছাত্র-জনতাকে হত্যা করা হয়েছে। এখন তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য অনুমতি চাওয়া হয়েছে, যার অনুমতি দিয়েছেন আদালত।’
তাজুল ইসলাম আরও বলেন, ‘ডিবির এসি ইকবালকে ১৮ মার্চ ও ওসি মুজিবুর রহমানকে ১৬ মার্চ সেফ হোমে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে আজ (রোববার) আরেকটি নতুন গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিষয়ে আবেদন করা হয়েছিল। আদালত সেটি আমলে নিয়ে রামপুরায় গণহত্যার ঘটনায় তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। তবে তারা যেন পালিয়ে যেতে না পারেন এবং তাদেরকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়, এ কারণে তাদের নাম-ঠিকানা প্রকাশ করিনি। তাদের গ্রেপ্তার করা হলে পরবর্তী সময়ে তাদের নামপরিচয় জানানো হবে।’
একইসঙ্গে আদালত উত্তরায় গণহত্যার ঘটনায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামসহ মোট ১০ আসামির তদন্ত প্রতিবেদন আগামী ১২ মে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন প্রধান কৌঁসুলি।
বাকি আসামিরা হলেন—আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক শাহিনুর মিয়া, উত্তরা পশ্চিম থানার আওয়ামী লীগের সভাপতি মনোয়ার ইসলাম চৌধুরী, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন মণ্ডল, উত্তরা ৬ নম্বর সেক্টর আওয়ামী লীগের সভাপতি বশির উদ্দিন, মহানগর উত্তরের এক নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন রুবেল, ওসি মশিকুর রহমান, কনস্টেবল হোসেন আলী, এসি জাবেদ ইকবাল ও ওমর আলী।