শেখ হাসিনা সেনানিবাসসহ ১৬ প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তনের প্রস্তাব

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার পরিবারের সদস্য এবং তার সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নামে থাকা সেনানিবাসসহ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আওতাধীন ১৬ সংস্থার নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আজ রোববার (৯ মার্চ) এ ব্যাপারে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রতিরক্ষা উপদেষ্টার দায়িত্বে থাকা প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে।
সংস্থাগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, টাঙ্গাইলের ভুয়াপুরে বঙ্গবন্ধু সেনানিবাসের নাম পরিবর্তন করে যমুনা সেনানিবাস, কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদ সেনানিবাসের নাম পরিবর্তন করে মিঠামইন সেনানিবাস, বরিশালের লেবুখালীতে শেখ হাসিনা সেনানিবাসের নাম পরিবর্তন করে বরিশাল সেনানিবাস, শরীয়তপুর জাজিরায় শেখ রাসেল সেনানিবাসের নাম পরিবর্তন করে পদ্মা সেনানিবাস করা হয়েছে।
এ ছাড়া চট্টগ্রামের ভাটিয়ারিতে বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্সের (ভাস্কর্যসহ) নাম পরিবর্তন করে বিএমএ একাডেমি কমপ্লেক্স, চট্টগ্রামের হালিশহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ব্যাটারি কমপ্লেক্স-১ ও ২ এর নাম পরিবর্তন করে আর্টিলারি সেন্টার অ্যান্ড স্কুল, কক্সবাজারের রামুতে মুজিব রেজিমেন্ট আর্টিলারি পরিবর্তন করে ১ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি করার প্রস্তাবনা রয়েছে।
এ ছাড়া শরীয়তপুরে বঙ্গবন্ধু কম্পোজিট মিলিটারি ফার্ম চরজানাজাতকে কম্পোজিট মিলিটারি ফার্ম জাজিরা, ঢাকার বিজয় সরণীতে অবস্থিত এডহক বঙ্গবন্ধু সামরিক যাদুঘরকে ‘বাংলাদেশ সামরিক যাদুঘর’, ঢাকা সেনানিবাসের বঙ্গবন্ধু যাদুঘরকে ‘স্বাধীনতা যাদুঘর’, টাঙ্গাইলের ভুয়াপুরে বঙ্গবন্ধু ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজকে ‘যমুনা ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ’, নারায়ণগঞ্জের জলসিঁড়ির শেখ রাসেল ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজকে ‘আদমজী ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ’, জলসিঁড়ি নামকরণ করা হচ্ছে।
আজ রোববার (৯ মার্চ) প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রতিরক্ষা উপদেষ্টার দায়িত্বে থাকা প্রধান উপদেষ্টার কাছে পাঠানো সারসংক্ষেপে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে এসব সংস্থার নাম বাতিল করে নতুন নামকরণের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
গত ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের নামে যেসব প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা রয়েছে, তা বাতিলে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়। সে পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম পরিবর্তনে প্রস্তাবনা প্রধান উপদেষ্টা বরাবর পাঠানো হয়েছে বলে প্রতিরক্ষা দপ্তর সূত্র নিশ্চিত করেন।