ভোলায় ভোটার হতে এসে রোহিঙ্গা দম্পতি আটক

ভোলার দৌলতখানে ভোটার হতে এসে আটক হয়েছেন রোহিঙ্গা দম্পতি। তাদের সঙ্গে দেড় বছরের শিশু সন্তানও ছিল। এসময় তাদের দুই সহযোগীকেও আটক করা হয়।
গতকাল বুধবার (১২ মার্চ) বিকেল ৫টার দিকে দৌলতখান উপজেলার চরপাতা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
আটক রোহিঙ্গা দম্পতি হলেন—মো. আব্দুল হালিম (৩২) ও তার স্ত্রী উম্মুল খায়ের (২৫)।
আটক দুই সহযোগী হলেন—জুলফিকার আলী ও তার বোন ফাতেমা। তারা ভোলার দৌলতখান উপজেলার চরপাতা ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, ওই রোহিঙ্গা দম্পতি টেকনাফ রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে এসেছেন।
দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিল্লুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দৌলতখান উপজেলার চরপাতা ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন সবুজ বলেন, ‘চরপাতা ইউনিয়নের ভোটার হালনাগাদ ও নতুন ভোটারদের ছবি তোলা হচ্ছিল। ওই রোহিঙ্গা দম্পতি তাদের সন্তান নিয়ে ভোটার হতে আসেন। এ সময় দুই সহযোগীও ছিলেন। কথাবার্তায় সন্দেহ হলে ঠিকানা, ওয়ার্ড নম্বর ও অন্যান্য তথ্য জানতে চাওয়া হয়। কিন্তু তারা সঠিকভাবে বলতে পারেননি। অন্যদিকে তাদের ভাষা আমাদের মতো না হওয়ায় সন্দেহ বাড়ে। একপর্যায়ে তারা রোহিঙ্গা বলে মনে হলে থানায় খবর দিই।’
উপজেলা নির্বাচন অফিসার এস এম ইশতিয়াক আহমাদ বলেন, রোহিঙ্গা দম্পতি আব্দুল হালিম ও উম্মুল খায়েরকে ভোটার করার জন্য কাগজপত্র নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে আসেন চরপাতা ইউনিয়ন ২ নং ওয়ার্ডের বয়জুদ্দিন হাওলাদার বাড়ির আব্দুল গণির ছেলে মাওলানা কারী মো. জুলফিকার। কাগজপত্র এলোমেলো ও তার অসংলগ্ন কথাবার্তায় সন্দেহ হয়। তাকে ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা রুমে গিয়ে নাগরিকত্বের সনদপত্র ও বিদ্যুৎ বিলের কাগজপত্রসহ যারা ভোটার হওয়ার জন্য এসেছেন তাদেরকে নিয়ে আসতে বলা হয়। এসময় ভোটার হওয়ার জন্য আসা ওই দম্পতির কথাবার্তা এলোমেলো ও অসংলগ্ন মনে হয়। দুই রোহিঙ্গাসহ ভোটার হওয়ার জন্য সহায়তাকারী জুলফিকার ও তার বোন ফাতেমা বেগমকে ইউনিয়ন পরিষদে আটকে রেখে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিয়তি রানী কৈরীকে জানানো হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুই রোহিঙ্গাসহ চারজনকে আটক করে।
দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিল্লুর রহমান বলেন, ‘আমরা রোহিঙ্গা দম্পতি ও তাদের সহযোগীদের আটক করে থানায় নিয়ে এসেছি। তারা সকালে ভোলার দৌলতখান আসেন। পরে চরপাতা ইউনিয়ন পরিষদে ভোটার আইডি কার্ডের ছবি তুলতে যান। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’