জনসম্মুখে বিচার করা হলে ধর্ষণ কমে আসবে : আফরোজা আব্বাস

জনসম্মুখে বিচার করা হলে ধর্ষণ কমে আসবে জানিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আফরোজা আব্বাস বলেছেন, এই ধর্ষক নরপশুদের দুই একটি বিচার না হলে তারা আসলে কখনো মানুষ হবে না। ধর্ষণের শিকার হয়ে আছিয়া যে মারা গেল, নির্মমভাবে হত্যা করা হলো। আছিয়া হত্যাকারী খুব দ্রুত জনসমক্ষে বিচার যদি হয়ে যেত, তাহলে পরপর এরকম ধর্ষণের ঘটনা ঘটত না। যেটা কিনা শেরপুর, ময়মনসিংসহ বিভিন্ন জায়গায় ঘটেছে।
রোববার (১৬ মার্চ) নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ৪ নং ওয়ার্ড আটিগ্রাম এলাকায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে ধর্ষণের শিকার আট বছরের শিশু তামান্না আক্তারকে দেখতে গিয়ে আফরোজা আব্বাস সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আর্থিক অনুদান দেওয়া হয় তামান্নার পরিবারকে। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান দিপু, যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীব প্রমুখ।
আফরোজা আব্বাস বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গণমাধ্যমে দেখেছেন, দেখে সঙ্গে সঙ্গে ফোন করে নির্দেশ দিয়েছেন এবং তামান্নার পরিবারের পাশে আছেন তারেক রহমান। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া শিখিয়েছেন যেখানে নারী নির্যাতন সেখানেই জাতীয়তাবাদী মহিলা দল। তাই আজকে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল এখানে এসেছে। এসব ধর্ষণের কারণে তৎকালীন প্রশাসন দায়ী। শেখ হাসিনার সময় ১৭ বছর গণধর্ষণ হয়েছে। গণধর্ষণের কোন বিচার হয়নি, গণধর্ষণের বিচার না করে বরঞ্চ তাদের পুরস্কৃত করা হতো। সেই কারণেই দিনে, দিনে এই ধর্ষণ বেড়ে গেছে।
আফরোজা আব্বাস আরও বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকাকালীন নারায়ণগঞ্জের রিমাকে ধর্ষণ করে হত্যার ঘটনায় মনিরকে যেভাবে তাৎক্ষণিক বিচার ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল, সেরকমভাবে দুই একটা বিচার যদি হতো তাহলে নারীরা এরকম ধর্ষণের শিকার হতো না। এই অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আহ্বান থাকবে কালক্ষেপণ না করে জনসম্মুখে লাখ লাখ মানুষের সামনে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলানোর দরকার ধর্ষকদের। জেলখানায় নিয়ে ফাঁসি দেবে এটা আমরা চাই না। আমরা চাই জনসম্মুখে সবাই দেখবে ধর্ষকের বিচার। জনগণের যেটা দাবি সেটাই আইন। অথবা ইসলামিক আইনে বিচার করা হোক। জনসম্মুখে পাথর নিক্ষেপ করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হোক। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আশা করব খুব দ্রুত এই বিচার কার্যকর করা হবে। জনসম্মুখে বিচার সম্পন্ন করা হলে ধর্ষণ কমে আসবে।