কৃষকের আট বিঘা জমির পাকা সরিষা কেটে নেওয়ার অভিযোগ

চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে জুলফিকার আলী নামের এক কৃষকের আট বিঘা জমির পাকা সরিষা ফসল কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল রোববার (১৬ মার্চ) উপজেলার গনইর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, উপজেলার গনইর গ্রামে আট বিঘা জমির মূল মালিক থানাপাড়া গ্রামের মৃত সৈয়ব আলীর ছেলে মতিউর রহমান। তিনি ওই জমি ১২ বছরের জন্য প্রতি বছরে ৯৭ হাজার টাকায় গত ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০৩২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত শিবগঞ্জ উপজেলার ইমতিয়াজ মাসরুর ও সাপাহার উপজেলার ইসমোতারা বেগমের কাছে লিজ প্রদান করেন। পরে তারা আবার নাচোল উপজেলার গনইর গ্রামের জুলফিকার আলীর কাছে ১২ বছরের জন্য লিজ প্রদান করেন। জুলফিকার লিজ গ্রহণের পর থেকে এখন পর্যন্ত ওই লিজকৃত জমি চাষাবাদ করে আসছেন। গত তিন মাস আগে সেই জমিতে জুলফিকার সরিষা চাষ করলে গতকাল রোববার মতিউর রহমান কোনো কিছু জুলফিকার আলীকে না জানিয়ে তার লোকজন দিয়ে আট বিঘা জমির পাকা সরিষা কেটে নিয়ে চলে যান।
কৃষক জুলফিকার আলী বলেন, ‘মতিউর রহমানের কাছ থেকে মাশরুর ও ইসমোতারা বেগম আট বিঘা জমি লিজ নেয়। কিন্তু পরবর্তীতে স্ট্যাম্পের মাধ্যমে তারা দুজনেই আমার কাছে ওই জমি লিজ প্রদান করেন। আমি লিজকৃত জমি লিজ নেওয়ার পর থেকে চাষাবাদ করে আসছি। কিন্তু হঠাৎ মতিউর রহমান আমার সেই লিজের জমির ফসল কেটে নিয়ে গেছে তার লোকজন দিয়ে।’

স্থানীয় কৃষক মিজানুর রহমান ও হরপিদ বলেন, তিন-চার বছর থেকে জমি লিজ নিয়ে জুলফিকার চাষাবাদ করছেন, তা আমরা জানি। রোববার মতিউর রহমান তার লোকজন দিয়ে সেই জমির সরিষা কেটে নেয়।
এ বিষয়ে প্রথমে লিজগ্রহণকারী ইসমোতারার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘মতিউরের কাছে আট বিঘা জমি লিজ নেওয়ার পর আমরা জুলফিকার আলীর কাছে ওই জমি লিজ প্রদান করি।’
জমির মূল মালিক মতিউর রহমান বলেন, ‘আমার জমির লিজ জুলফিকার আলীকে দেইনি। যারা লিজ নিয়েছে তারা জমিতে চাষাবাদ করবে।’
নাচোল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম বলেন, যার জমি সেই সরিষা কেটেছে।