লঞ্চে জন্ম নেওয়া নবজাতক পেল আজীবন যাতায়াত সুবিধা

ঢাকা-চাঁদপুর নৌ-রুটে চাঁদপুর থেকে ঢাকায় যাওয়ার পথে এমভি বোগদাদীয়া-৮ নামক লঞ্চে এক নবজাতকের জন্ম হয়েছে। রোববার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যায় সাদিয়া আক্তার নামের ওই যাত্রী মেয়ে সন্তানের জন্ম দেন। ওই নবজাতক এমভি বোগদাদীয়া-৮ লঞ্চে আজীবন বিনামূল্যে যাতায়াতের সুবিধা পাবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন লঞ্চটির মালিক হামিদুল্লাহ সুমন। এ তথ্য এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন লঞ্চের করনিক মো. দীপু।
সাদিয়া আক্তার জেলার হাইমচর উপজেলার ভিঙ্গুলিয়া গ্রামের শ্রমিক জহির খানের স্ত্রী। চিকিৎসার জন্য তিনি চাঁদপুর থেকে ঢাকায় যাচ্ছিলেন।
লঞ্চের করণিক দীপু বলেন, রোববার বিকেল ৫টার এমভি বোগদাদীয়া-৮ লঞ্চটি চাঁদপুর লঞ্চ ঘাট থেকে যাত্রী নিয়ে ঢাকা সদরঘাটের উদ্দেশে রওনা হয়। সন্ধ্যায় লঞ্চটি ঢাকার কাছাকাছি পৌঁছায়। তখন নিচতলার ডেকে সাদিয়া আক্তার নামের এক যাত্রীর প্রসবব্যথা ওঠে। আমরা তাঁকে কেবিনে নিয়ে যাই। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তিনি একটি ফুটফুটে কন্যাসন্তান জন্ম দেন।
দীপু আরও বলেন, এই খুশিতে লঞ্চের মালিক হামিদুল্লাহ সুমন আনন্দিত হয়ে শিশুটির জন্য আজীবন ওই লঞ্চে বিনামূল্যে যাতায়াতের ঘোষণা দিয়েছেন।
ওই সময় লঞ্চে সাদিয়া আক্তারের সঙ্গে ছিলেন তাঁর নিকটাত্মীয় মৌসুমি বেগম। তিনি জানান, সাদিয়ার প্রসবব্যাথা হলে তাঁকে প্রথমে ফরিদগঞ্জ উপজেলায় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে ঢাকায় যাওয়ার কথা বলা হয়। তবে তাঁরা সাদিয়াকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছেন চাঁদপুরে নবজাতকের জন্য আইসিইউর ব্যবস্থা নেই। এ জন্য তাঁকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। যার ফলে বিকেল পাঁচটার লঞ্চে তাঁরা ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন। তবে লঞ্চের মধ্যেই সাদিয়া স্বাভাবিকভাবে বাচ্চার জন্ম দিয়েছেন।
মৌসুমি বেগম আরো জানান, রাতে ঢাকায় নেমে সাদিয়াকে একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। পরে রাত ১২টার লঞ্চে করে ঢাকা থেকে চাঁদপুরের হাইমচরে চলে আসেন। এখন নবজাতক বাচ্চা ও মা দুজনই সুস্থ আছেন।