ডাক্তার না হয়েও চিকিৎসা, ‘কেটে ফেলতে হচ্ছে’ রোগীর পায়ের হাড়

ডাক্তার না হয়েও প্রতিদিন অসংখ্য রোগী দেখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার রতন বিশ্বাস। বিজয়নগরের চম্পকনগর বাজারে নিজ চেম্বারে নারী-শিশু-বৃদ্ধসহ সকলকে সব রোগের চিকিৎসা দিয়ে থাকেন তিনি। তার ভুল চিকিৎসায় রোগীর পায়ের হাড় কেটে ফেলতে হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
প্রেসক্রিপশনের তথ্য অনুযায়ী, রতন বিশ্বাস একজন ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল ফ্যাকাল্টি (ডিএমএফ) পাস। তার বিরুদ্ধে এক রোগীর স্বজনের অভিযোগ—ভুল চিকিৎসায় তার ভাইয়ের পায়ের হাড় কেটে ফেলতে হচ্ছে।

জানা যায়, ফার্মেসির পেছনেই বড় বড় সার্জারিসহ চিকিৎসার নানা কর্মযজ্ঞ চলে। এখানেই প্রতিদিন রোগী দেখেন তিনি। রোগী প্রতি নেন ১০০ টাকা।
সম্প্রতি অভিযোগ উঠে, উপজেলার কাঞ্চনপুরের শফিকুল ইসলামের ছেলে মাইনুল ইসলাম (১০) নামের এক শিশু পায়ে ব্যথা নিয়ে এলে তিনি দুবার ভুল অপারেশন করে হাতিয়ে নেন ১৫ হাজার টাকা। ভুল চিকিৎসার কারণে রোগীর অবস্থা গুরুতর হলে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক অর্থোপেডিক ডাক্তারের কাছে নেওয়া হয়। ওই চিকিৎসক রোগীর ভয়াবহ অবস্থা দেখে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। পরে তাকে ঢাকায় নেওয়া হলে ভুল চিকিৎসার কারণে শিশুটির পায়ের হাড় কেটে ফেলতে হবে বলে জানান পঙ্গু হাসপাতালের চিকিৎসকেরা।
ভুক্তভোগী মাইনুল ইসলামের বড় ভাই ইমরান ইসলাম বলেন, ‘আমার ছোট ভাই পায়ে হোঁচট খেয়ে ব্যথা পেলে রতন ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাই। তিনি প্রথমে একবার অপারেশন করেন। অপারেশন করার কিছুদিন পর পা ফুলে গেলে তিনি আবার অপারেশন করেন। দ্বিতীয় অপারেশন করার পর পা আরও খারাপ হয়ে যায়। পরে ঢাকা নিয়ে গেলে ডাক্তারো জানান ভুল চিকিৎসার কারণে হাড় কেটে ফেলতে হবে। আমার কথা হচ্ছে তিনি (রতন বিশ্বাস) না পারলে অপারেশন করবে কেন।’

এ বিষয়ে রতন বিশ্বাসের বক্তব্য নিতে চাইলে তিনি বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
বিজয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুমন ভূইয়া বলেন, ডিএমএফ করা কেউ চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া অন্যায়। একজন সার্জন না হয়ে অপচিকিৎসা করা দণ্ডনীয় অপরাধ৷