রাজধানীতে ঘোড়ার গাড়িতে অন্যরকম ঈদ আনন্দ

ঈদুল ফিতরের দ্বিতীয় দিনেও উৎসবে মেতে উঠেছে রাজধানীবাসী। এরমধ্যে ঘোড়ার গাড়িতে ভ্রমণ হয়ে উঠেছে অন্যরকম আনন্দের। আজ মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) রাজধানীর সংসদ ভবনের মানিকমিয়া এভিনিউয়ের সামনে দেখা গেছে এ চিত্র। এখানে পরিবারসহ ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করছেন তারা।
নয়ন হোসেন নামের এক ব্যক্তি বলেন, ঈদে ঘোরাঘুরির জন্য সংসদ ভবন এসেছিলাম। এখানে এসে দেখি অনেক ঘোড়ার গাড়ি। পরিবারের সবাই ঘোড়ার গাড়িতে চড়বে বলে বায়না ধরেছিল। তাই ব্যতিক্রমি আনন্দের জন্য পরিবার নিয়ে ঘুরতে বেরিয়েছি। অন্য সময় এই সব ঘোড়ার গাড়ি (টমটম) গুলস্তান থেকে সদরঘাট পর্যন্ত যাত্রী বহন করে। কিন্তু আজ তারা রিজার্ভে যাত্রী নিচ্ছেন।
ফাহাদ নামের আরেকজন বলেন, ঈদের ফাঁকা রাস্তায় টমটমে ঘুরতে বেশ ভালোই লাগছে। অন্য সময় জ্যামের কারণে বেড়ানো যায় না। কিন্তু ঈদের সময় ঢাকা ফাঁকা থাকার কারণে বেড়াতে মজা হচ্ছে। টমটম একটি ঐতিহ্য। ঢাকার রাস্তায় ব্রিটিশ আমল থেকে টমটমের প্রচলন। কিন্তু এখন যান্ত্রিক যুগে টমটমের ব্যবহার অনেকাংশে কমতে শুরু করেছে।
টমটমের স্বত্তাধিকারী মো. কুদ্দুস দেওয়ান বলেন, বছরের অন্য সময় সদরঘাট থেকে গুলিস্তানে ভাড়াতে চালাই। কিন্তু ঈদের কয়েকদিন টমটমে বিনোদন পিপাসুরা বেড়ান। একেকটি টমটমের দুই পাশের বেঞ্চে তিনজন করে, পাটাতনে তিনজন ও চালকসহ দশজন বসতে পারে।
কুদ্দুস দেওয়ান আরও বলেন, অনেকে বর্ণাঢ্য কোনো র্যালি, বিয়ের হলুদের অনুষ্ঠানে ঘোড়াচালিত টমটম নেয়। এ ছাড়া গুলিস্তান থেকে সদরঘাটে জনপ্রতি ২০ টাকা করে রাখা হয়। আর কেউ যদি রিজার্ভ করে সে ক্ষেত্রে দামাদামি করে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়। আগে ঈদে দুই-একটি গাড়ি থাকলেও এবার অনেক গাড়ি এসেছে। তবে এখন যাত্রী কম থাকলেও দিন গড়ালে যাত্রীর সংখ্যা বাড়বে।