মৌলভীবাজারে আইনজীবী হত্যার রহস্য উদঘাটন, গ্রেপ্তার ৫

মৌলভীবাজারের আলোচিত তরুণ আইনজীবী সুজন মিয়া হত্যাকাণ্ডের চারদিন পর মূল ক্লু (কারণ) উদ্ধার করেছে পুলিশ। মিসবা মিয়া নামের অন্য ব্যক্তিকে হত্যার পরিকল্পনা ছিল আসামিদের। চেহারায় হুবহু মিল থাকায় আইনজীবীকে হত্যা করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে জেলা পুলিশ সুপার এম কে এইচ জাহাঙ্গীর হোসেন এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডে জরিত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
এসপি জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, পরিকল্পনাকারী নজির মিয়াসহ জড়িত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে পুলিশের কাছে হত্যার কথা স্বীকার করেন তারা। আরও পাঁচজনকে গ্রেপ্তারে তৎপরতা চালানো হচ্ছে।
পুলিশ সুপার আরও জানান, মৌলভীবাজার সদর উপজেলার খালিশপুর গ্রামের নজির মিয়া মুজিবের সঙ্গে একই গ্রামের মিসবাহের পূর্বের শত্রুতা ছিল। এতে নজির মিয়া (মুজিব) মিসবাহকে শায়েস্তা করতে অনেক আগে থেকে পরিকল্পনা করতে থাকে। এক পর্যায়ে নজির মিয়ার পূর্ব পরিচিত লক্ষণ নামের এক ব্যক্তির মাধ্যমে মিসবাহকে হত্যা করার জন্য ভাড়াটে লোক নিয়োগ করে। পরে চেহারার মিল থাকায় মিসবাহের জায়গায় আইনজীবী সুজন মিয়াকে হত্যা করা হয়।
গ্রেপ্তার করা আসামিরা হলেন—নজির মিয়া ওরফে মুজিব (২৫), মো. আরিফ মিয়া (২৭), হোসাইন আহমদ সোহান (১৯), লক্ষণ নাইডু (২৩) ও আব্দুর রহিম (১৯)।