এশিয়ায় আস্থা অর্জনে বাংলাদেশের ভূমিকার প্রশংসা সিআইসিএ মহাসচিবের

কনফারেন্স অন ইন্টারেকশন অ্যান্ড কনফিডেন্স বিল্ডিং মেজার্স ইন এশিয়ার (সিআইসিএ) মহাসচিব কাইরাত সারিবে সিআইসিএতে বাংলাদেশের অবদান এবং এশিয়ায় আস্থা তৈরির পদক্ষেপ বাস্তবায়নে বাংলাদেশের সক্রিয় ভূমিকার প্রশংসা করেছেন।
গতকাল শুক্রবার (১১ এপ্রিল) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তুরস্কের আনাতোলিয়ায় ‘আনাতোলিয়া ডিপ্লোমেসি ফোরাম (এডিএফ) ২০২৫’ সম্মেলনের ফাঁকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলমের সঙ্গে এক বৈঠকে সিআইসিএ মহাসচিব এ কথা বলেন।
বৈঠকে বাংলাদেশ ও সিআইসিএর মধ্যে সম্পর্কের সব দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সিআইসিএকে একটি পূর্ণাঙ্গ আঞ্চলিক আন্তর্জাতিক সংস্থায় রূপান্তরে মহাসচিবের ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি বাংলাদেশের খাতভিত্তিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে সিআইসিএর যোগাযোগ বাড়ানোর প্রস্তাব করেন, কারণ এটি বিদ্যমান সম্পর্ক জোরদারের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ।
উভয় পক্ষই বিদ্যমান কর্মপ্রচেষ্টার মাত্রা আরও উন্নত করতে এবং আগামী দিনে সহযোগিতার নতুন নতুন পথ অন্বেষণে সম্মত হয়েছে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ‘রিক্লেইমিং ডিপ্লোমেসি ইন এ ফ্র্যাগমেন্টেড ওয়ার্ল্ড’ প্রতিপাদ্য নিয়ে তিন দিনব্যাপী এডিএফ ২০২৫ গতকাল শুক্রবার আনাতোলিয়ায় শুরু হয়েছে।
এবারের প্রতিপাদ্য ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক বিভক্তির মধ্যে কূটনীতিকে একটি স্থিতিশীল শক্তি হিসেবে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করার জরুরি প্রয়োজনীয়তার প্রতিফলন ঘটায়।
কূটনীতি কীভাবে জোয়ারের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে এবং সম্মিলিত পদক্ষেপের জন্য একটি সাধারণ ভিত্তি খুঁজে পেতে একটি খণ্ডিত বিশ্বের মধ্য দিয়ে আমাদের পরিচালনা করতে পারে, তা অনুসন্ধান করার জন্য এডিএফ বিশ্বব্যাপী নেতা, নীতিনির্ধারক, শিক্ষাবিদ এবং ব্যবসায়িক বিশেষজ্ঞদের পাশাপাশি মিডিয়া ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের একত্রিত করেছে।
২০টির বেশি দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান, অর্ধশতাধিক পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ৭০ জনেরও বেশি মন্ত্রী এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রায় ৬০ জন জ্যেষ্ঠ প্রতিনিধি এবং শিক্ষার্থীসহ চার হাজারেরও বেশি অতিথি এই ফোরামে অংশ নেন।