মোরশেদ আলমকে রিমান্ডে নেওয়ার দাবি জয়নুল আবদিন ফারুকের
সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) ও বেঙ্গল গ্রুপের চেয়ারম্যান মোরশেদ আলমকে রিমান্ডে নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক। তিনি বলেন, গত ৯ এপ্রিল রাজধানীর গুলশান-২ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হলেও এখনও রিমান্ডে নেওয়া হয়নি।
আজ শনিবার (১২ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকাস্থ সেনবাগ জাতীয়তাবাদী ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জয়নুল আবদিন ফারুক এসব কথা বলেন। মোরশেদ আলমকে রিমান্ডে নিয়ে তার অবৈধ সম্পদের হিসেব খুঁজে বের করার দাবিতে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে বেঙ্গল গ্রুপের চেয়ারম্যান মোরশেদ আলম বলেছিলেন, আমি সেনবাগে দিতে এসেছি, নিতে নয়। ১৬ বছর ধরে মানুষ দেখেছে, উনি দিতে আসেন নাই নিতে এসেছে। প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক নিয়োগে মোটা অঙ্কের চাঁদা নিয়েছিলেন মোরশেদ আলম। অথচ তাকে গ্রেপ্তারের পর এখনও রিমান্ডে নেওয়া হয়নি। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে আমরা এটার জবাব চাই।
তিনি বলেন, আমি প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই, হাসিনার দোসর এই মোরশেদ আলমরা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে মামলা দিয়ে নির্যাতন করে ১০ তলা পর্যন্ত হেঁটে উঠিয়েছে। অথচ এসি মাইক্রোবাসে তাকে কারাগার থেকে আনা হয়। এখনও রিমান্ডে পর্যন্ত নেওয়া হয়নি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আমরা জানতে চাই, কোন অজানা কারণে এখনও রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলো না, এই জবাব আপনাকে জাতির সামনে দিতে হবে।
জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, রাতের ভোটের এমপি মোরশেদ আলম মোসাদ্দেক আলী ফালু সাহেবের আরটিভি জোর করে দখল করে নিয়েছে। সেই আরটিভিতে নিউজ করেছে, ব্যবসায়ী মোরশেদ আলম গ্রেপ্তার। কেন বলা হলো না অবৈধ এমপি মোরশেদ আলম গ্রেপ্তার।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মোরশেদ আলমের দেওয়া বক্তব্য ভাইরাল হয়েছে। ওই বক্তব্যে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং স্থানীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অশালীন বক্তব্য দেন।
ওই বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে ফারুক বলেন, এমন একটি বক্তব্য তিনি কীভাবে দিতে পারেন? মোরশেদ আলমের বাড়ি সেনবাগে নয়, সে ১৯৯৬ সালে জাতীয় পার্টি থেকে লাঙল প্রতীকে বরকতউল্লাহ বুলুর বিরুদ্ধে নির্বাচন করে, ওই নির্বাচনে ভোট পেয়েছে মাত্র ১০৬টি।
বিএনপির এই নেতা বলেন, বদনা ব্যবসায়ী মোরশেদ আলম আলাদিনের চেরাগ হাতে পেয়েছে। কয়েক বছরে হাজার হাজার কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। দেশের টাকা লুটের অন্যতম হোতা মোরশেদ আলম। শেখ হাসিনা এমন লোকদের বিনা ভোটে এমপি বানিয়ে টাকা কামিয়েছে।
জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, কীভাবে তিনি এত টাকার মালিক হলো তা বের করার দায়িত্ব সরকারের। আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাবো তাকে রিমান্ডে নিয়ে এসব তথ্য বের করা হোক।
অনুষ্ঠানে ঢাকাস্থ সেনবাগ জাতীয়তাবাদী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন সেলিমের উপস্থাপনায় আরও বক্তব্য দেন ফোরামের সভাপতি এবিএম ফারুকসহ অনেকে।