পাগলা মসজিদে ৫ ঘণ্টায় গণনা হলো প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকা

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্সে পাওয়া ২৮ বস্তা টাকা ৫ ঘণ্টায় গণনা করে প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকা পাওয়া গেছে। এখনো চলছে গণনার কাজ।
আজ শনিবার (১২ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে রূপালী ব্যাংকের এজিএম মোহাম্মদ আলী হারিসী জানান, সকাল ৭টায় দান বাক্সগুলো খোলা হয়। পরে বস্তায় ভরে মসজিদের দ্বিতীয় তলার মেঝেতে এনে সকাল ৯টায় গণনার কাজ শুরু করা হয়। সেই হিসেবে ৫ ঘণ্টায় ৬ কোটি ৩৬ লাখ টাকা গণনা করা হয়েছে। এই টাকাগুলো বিশেষ নিরাপত্তার মাধ্যমে রূপালী ব্যাংক কিশোরগঞ্জ শাখায় পাঠানো হয়েছে।
শনিবার সকাল ৭টায় পাগলা মসজিদের ১১টি দানবাক্স খুলে ২৮ বস্তা টাকা পাওয়া যায়। পরে মসজিদ কমপ্লেক্সের দোতলায় এনে গণনার কাজ শুরু করা হয়।

মসজিদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য, মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত মাদরাসা ও এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থী, পার্শ্ববর্তী জামিয়া এমদাদিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থী, রূপালী ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ ৪০০ জনের একটি দল এই ২৮ বস্তা টাকা গণনার কাজে অংশ নিয়েছে। এবার রমজানের জন্য দানবাক্স খোলার সময় পার হয়ে যাওয়ায় একটি টিনের বাক্স বাড়ানো হয়েছে।
আজ সকালে কিশোরগঞ্জ জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক জেসমিন আক্তার প্রমুখের উপস্থিতিতে দানবাক্সগুলো খোলা হয়। এছাড়াও এ সময় বিপুল সংখ্যক সেনাবাহিনী, পুলিশ ও আনসার সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সর্বশেষ গত বছরের ৩০ নভেম্বর পাগলা মসজিদের দানবাক্স খুলে রেকর্ড ৮ কোটি ২১ লাখ ৩৪ হাজার ৩০৪ টাকা পাওয়া যায়। টাকার পাশাপাশি হীরা, বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকারও পাওয়া গেছে প্রচুর পরিমাণে।