ভাঙচুর ও হত্যাচেষ্টা মামলায় জামিন পেলেন দুই নারী আইনজীবী

রাজধানীর কোতোয়ালি থানার ভাঙচুর ও হত্যাচেষ্টা মামলায় আওয়ামী লীগপন্থি দুজন নারী আইনজীবীর জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ রোববার (১৩ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন। জামিন পাওয়া আইনজীবীরা হলেন—সৈয়দা ফরিদা ইয়াসমিন জেসি ও তাসলিমা ইয়াসমিন দীপা।
এ বিষয়ে জামিন পাওয়া আইনজীবী সৈয়দা ফরিদা ইয়াসমিন জেসি এনটিভি অনালাইনকে বলেন, ‘গত ১৭ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট থেকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন নিয়েছি। এরপর ওই জামিনের মেয়াদ শেষ হলে হাইকোর্টের নির্দেশ মোতাবেক আদালতে আত্মসমর্পণ করি। বিচারক শুনানি শেষে জামিনের আদেশ দিয়েছেন।’
একই মামলায় গত ৬ এপ্রিল আওয়ামী লীগপন্থি ৬১ জন আইনজীবীকে কারাগারে পাঠান আদালত। তবে এদিন ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি আবু সাঈদ সাগর ও ১৮ জন নারী আইনজীবীকে জামিনের আদেশ দেন।
মামলার নথি থেকে জানা গেছে, গত ৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ আলী বাবু। আওয়ামী লীগপন্থি ১৪৪ জন আইনজীবীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা ও ভাঙচুরের অভিযোগে মামলা করেন। এরপরে এ ঘটনায় হাইকোর্ট থেকে আট সপ্তাহের জামিন নেন ১১৫ জন। আগামীকাল সোমবার (৭ এপ্রিল) অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের মেয়াদ শেষ হবে। ওই মেয়াদ শেষের আগে আজ আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করলেন।
এজাহারে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ৪ আগস্ট দুপুরে আসামিরা ঢাকা আইনজীবী সমিতির কার্যালয়ের সামনে বেআইনি অস্ত্র, লাঠিসোটা নিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন। তারা বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ‘শেখ হাসিনার ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় ভুক্তভোগী আইনজীবী মামলার শুনানি শেষ করে ঢাকা আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে আসেন। তখন আসামি আনোয়ার শাহাদাৎ শাওন হেলমেট পরে হত্যার উদ্দেশ্যে পিস্তল তাক করেন।
এ মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন—আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক কাজী নজিবুল্লাহ হিরু, ঢাকা মহানগর আদালতের সাবেক পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. আব্দুল্লাহ আবু, আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান বাদল, মো. সাইদুর রহমান মানিক, মো. মিজানুর রহমান মামুন, আব্দুর রহমান হাওলাদার, গাজী মো. শাহ আলম, আব্দুল বাতেন, মাহবুবুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক খন্দকার গোলাম কিবরিয়া জুবায়ের, মোহাম্মদ আনোয়ার শাহাদাৎ শাওন, মো. ফিরোজুর রহমান মন্টু, মো. আসাদুজ্জামান খান রচি ও সাবেক সংসদ সদস্য সানজিদা খানম।