১০ অর্থনৈতিক অঞ্চল বাতিলের সিদ্ধান্ত

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) গভর্নিং বডির সিদ্ধান্ত অনুসারে দেশের ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্য থেকে ১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলকে চূড়ান্তভাবে বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। বিডার চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন এ তথ্য জানিয়েছেন।
রোববার (১৩ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে আশিক চৌধুরী এ তথ্য প্রকাশ করেন।
বিডার চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন বলেন, বাংলাদেশে ব্যবসার পরিবেশ সুস্থ ধারায় ফেরাতে এবং বিনিয়োগ আনার জন্য দেশি-বিদেশি ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের নিয়ে আয়োজন করা হয় বিনিয়োগ সম্মেলন।
বিডার চেয়ারম্যান বলেন, দেশের মানুষের সহনশীলতা, নিয়োগ সম্ভাবনার অবস্থা সচক্ষে দেখে বিদেশিরা উচ্ছ্বসিত। সামিটের সফলতা নিয়ে বিডা চিন্তিত নয়, বিদেশিদের কাছে বাংলাদেশের সম্ভাবনা তুলে ধরাই ছিল সম্মেলনের প্রধান উদ্দেশ্য। এ সময় তিনি আরও বলেন, ১০০টির মধ্য থেকে গভর্নিং বডির সিদ্ধান্তে ১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলকে চূড়ান্তভাবে বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটি সরকারি ও পাঁচটি বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চল।
বাতিল হওয়া সরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো হলো-
সোনাদিয়া ইকো ট্যুরিজম পার্ক (কক্সবাজার), সুন্দরবন ট্যুরিজম পার্ক (বাগের হাট), গজারিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চল (মুন্সীগঞ্জ), শ্রীপুর অর্থনৈতিক অঞ্চল (গাজীপুর) ও ময়মনসিংহ অর্থনৈতিক অঞ্চল (ময়মনসিংহ)।
বাতিল হওয়া বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো হলো-
গার্মেন্টস শিল্প পার্ক, বিজিএমইএ (মুন্সীগঞ্জ), ছাতক ইকোনোমিক জোন (সুনামগঞ্জ), ফমকম ইকোনোমিক জোন (বাগেরহাট), সিটি স্পেশাল ইকোনোমিক জোন (ঢাকা) ও সোনারগাঁও অর্থনৈতিক অঞ্চল (নারায়ণগঞ্জ)।
এদিকে ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস নেপালের জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
বিডার চেয়ারম্যান আরও জানান, সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের মধ্যে সমুদ্র বন্দর বা বে টার্মিনাল স্থাপনের জন্য বিদেশি কোম্পানি চূড়ান্ত করা হবে। তিনি বলেন, ওয়ান স্টপ সার্ভিসের সকল সেবা অনলাইন করা হবে। লাইসেন্সের ক্ষেত্রে সকল সেবা একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিডা।
ট্রানশিপমেন্ট বাতিলকে সুযোগ হিসেবে দেখার আহ্বান জানিয়ে আশিক চৌধুরী বলেন, এর মাধ্যমে দেশের অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরগুলোকে আপগ্রেড করার সুযোগ তৈরি হবে।
সম্মেলন আয়োজনে মাত্র দেড় কোটি টাকার মতো খরচ হয়েছে বলে জানান বিডার বিজনেস ডেভেলপমেন্ট প্রধান নাহিয়ান রহমান।
নাহিয়ান রহমান বলেন, সামিটের মধ্যদিয়ে ৩ হাজার ১০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ ঘোষণা এসেছে। এর বিপরীতে বাংলাদেশের খরচ হয়েছে দেড় কোটি টাকা। এ ছাড়া ছয়টি কোম্পানির সঙ্গে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরের তথ্যও জানান তিনি।
ট্রানশিপমেন্ট বাতিলকে সুযোগ হিসেবে দেখার আহ্বান জানিয়ে আশিক চৌধুরী বলেন, এর মাধ্যমে দেশের অভ্যন্তরীণ এয়ারপোর্টগুলোকে আপগ্রেড করার সুযোগ তৈরি হবে।
এবারের সম্মেলনে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বেশি ছিল জানিয়ে আশিক চৌধুরী আরও বলেন, বাংলাদেশি বিনিয়োগকারীদের পাশাপাশি এবার ৫০টি দেশ থেকে ৪১৫ জন বিদেশি ডেলিগেট অংশ নিয়েছেন। সংখ্যার দিক থেকে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ ৫৮ শতাংশ।