খাগড়াছড়িতে বজ্রাঘাতে ৬ গরু ও এক ছাগলের মৃত্যু

খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি উপজেলায় কালবৈশাখীর ছোবলে বজ্রাঘাতে দরিদ্র কৃষকের একমাত্র অবলম্বন ছয়টি গরু ও একটি ছাগল মারা গেছে। আজ মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ভোরে এ বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে।
বজ্রপাতে কৃষক আবদুল মমিনের প্রায় সাড়ে ছয় লাখ টাকার সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আগামী কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য দুটি বড় ষাঁড় মোটাতাজা করছিলেন তিনি। কালবৈশাখী ঝড়ের সঙ্গে বজ্রপাতে তাঁর স্বপ্নভঙ্গ। সর্বস্ব হারিয়ে তিনি এখন দিশেহারা।
জানা গেছে, মানিকছড়ি ইউনিয়নের ওয়াকছড়ি এলাকার প্রান্তিক কৃষক আবদুল মমিন চাষাবাদ ও গরু-ছাগল লালন-পালন করে জীবিকা নির্বাহ করেন। বজ্রাঘাতে তাঁর দুটি বড় ষাঁড়, চারটি গাভিন গাভি ও একটি ছাগল মারা গেছে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) মো. মোশাররফ হোসেন। ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে এ জনপ্রতিনিধি বলেন, এলাকার প্রবীণ একাধিক ব্যক্তি বলেন, অতীতে কখনও একসঙ্গে বজ্রপাতের ঘটনায় এত গরু এক সঙ্গে মারা যাওয়ার ঘটনা কেউ দেখেনি। এতে কৃষক আবদুল মমিনের ছয় লাখ টাকার অধিক ক্ষতি হয়েছে। প্রতিবেশীরা সহমর্মিতা প্রকাশ করে কৃষকের সহায়তায় প্রশাসন ও বিত্তশালীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
কৃষক আবদুল মমিন জানান, কিছু বুঝে ওঠার আগেই ফজরের নামাজের পর কালবৈশাখীর ছোবল ও বজ্রপাত শুরু হয়। মুহূর্তের মধ্যেই গোয়ালঘরে বজ্রপাত হয়ে আমার সাতটি গরু-ছাগলের মৃত্যু ঘটে। এতে আমার সাড়ে ছয় লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমি এখন নিঃস্ব।
মানিকছড়ি উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোস্তফা কামাল মর্মান্তিক এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, কৃষকের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল। এখনও বজ্রপাতে গবাদি পশুর মৃত্যুতে সরকারিভাবে ক্ষতিপূরণের কোনো বিধি নেই।